সারাদিন কর্ম ব্যস্ততা এবং হাবিজাবি খাবার খাওয়ার পর শারীরিক গোলযোগ হওয়াই স্বাভাবিক। অতিরিক্ত তেল মশলা যুক্ত এবং বাইরের স্ট্রিট ফুড হোক কিংবা হোটেলের খাবার অম্বল থেকে রক্ষে নেই একেবারেই। তার সঙ্গে জল খাওয়া প্রায় হয় না বললেই চলে। ফলতঃ, বুকে জ্বালা, গলায় জ্বালা, পেটে অস্বস্তি লেগেই রয়েছে।
তবে শরীরের আর দোষ কী? বাড়ির সুস্বাদু এবং কম মশলার খাবার ছেড়ে বাইরের খাবার খেলে এসব সমস্যা তো হবেই। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডি ক্সা ভবসর এই প্রসঙ্গেই জানিয়েছেন বেশ কিছু তথ্য। তার বক্তব্য, আয়ুর্বেদের দ্বারাই হতে পারে এর সমাধান। কিন্তু কীভাবে? তিনি বলেন শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার থেকে তার প্রতিকার করার প্রয়োজন। গোড়া থেকে নির্মূল হলেই তবে এর সুরাহা।
যে যে বিষয়গুলি প্রসঙ্গে তিনি নজর দিতে বলেন-
• অতিরিক্ত ঝাল, নোনতা, তেল মশলা যুক্ত খাবার, ভাজাভুজি এবং সংরক্ষিত খাবার এড়িয়ে চলুন।
• অতিরিক্ত কখনই খাবেন না
• টক ফল থেকে দূরে থাকুন
• বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকবেন না
• অসময় এবং অনিয়মিত খাবার থেকে বিরত থাকুন
• রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খান
• নিরামিষ খাবার খাওয়া খুব উপকারী নয়
আরও পড়ুন [ উপোস করলেও শরীরের উপকার হয়? বিশ্বাস না হলে জেনে নিন ]
• খাবারের সঙ্গে সঙ্গেই শুয়ে পরবেন না। বাদিক ফিরেই শোয়া অভ্যাস করুন
• ধূমপান, মদ্যপান, কফি এবং অ্যাস্পিরিন জাতীয় ওষুধ খাবেন না
• মানসিক চাপ দূরে রাখুন
এসব নীয়মাবলির সঙ্গে তিনি আরও সংযুক্ত করেন বেশ কিছু ঘরোয়া খাবারের, যেগুলি আপনার শরীর সুস্থ যেমন রাখবে তেমনই খাবার থেকেও দূরে থাকতে হবে না!
• ধনিয়া জল সারাদিন অল্প পরিমাণে খান
• খাবারের পর আধা চামচ মৌরি খান
• নারকেল জল পান করুন
• মিছরি সরবত খেতে পারেন
• খালি পেটে একমুঠো ভেজানো কিশমিশ খান
• ঠান্ডা জলে অল্প গোলাপ জল এবং পুদিনা জল শরীরের পক্ষে খুব ভাল
• বেশ কিছু ফল যেমন ডালিম, কলা, আপেল, কিসমিস, নারকেল এগুলো খেতে পারেন
এছাড়াও তিনি বলেন আমলকী যেমন ভাবে ইচ্ছে ( গুড়ো, কাচা কিংবা রস ) হয় খাওয়া উচিত।
দুধের সাথে মিশিয়ে শতাবরী খেতে ভুলবেন না।
যোষ্ঠিমধু অ্যাসিডিটির সমস্যা সহজেই দুর করে।
২০ থেকে ২৫ মিলি অ্যালোভেরা রস খালি পেটে রোজ খান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন