Advertisment

আজ থেকেই নজর দিন আপনার খুদের ডায়েট প্ল্যানে

অনেকেই ছোটো থেকে ডাল-ভাত, সবজি সব একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া অভ্যাস করান ছোটোদের। এতে অনেক বড়ো বয়স অবধিও সমস্যা হতে পারে। কাজেই ওকে খাবারের স্বাদ বুঝতে দিন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
healthy-eating-dreamstime

খুদের খাদ্যাভ্যাসে নজর দিন।

পর্দায় ছোটা ভিম আর হাতে চিপস, ক্যাডবেরির প্যাকেট। এই দৃশ্যটা প্রত্যেক মা-এরই চেনা। খাওয়া নিয়ে সমস্যা নেই বা খেতে বসে মুখ ফুলিয়ে বসে থাকে না এমন খুদে বোধহয় খুব কমই আছে। এদিকে ব্যস্ততার কারণে বাড়ির লোকও ঠিক মতো নজর দিতে পারেন না শিশুর ডায়েট প্ল্যানে। চটজলদি কাজ সারতে ম্যাগি দিয়েই ঝক্কি মেটান অনেকেই। তবে আপনি হয়ত নিজেও জানেন না কি ভুল করছেন। বাচ্চার ফুড হ্যাবিট তৈরি করুন আজ থেকেই। আপনার জন্য রইল কয়েকটি ছোটো পরামর্শ।

Advertisment

ওর বেড়ে ওঠার সময়টায় খাওয়া নিয়ে সচেতন হন। সাধারণত দেখা যায় খাওয়া নিয়ে সমস্যা করায় বেশিরভাগ দিনই দুপুর বা রাতের খাবার খায় না খুদেরা। এ দিকটা খেয়াল রাখুন অবশ্যই। সন্ধেবেলা খিদে পেলে হালকা খাবার দিন যাতে রাতে খেতে পারে। পাশাপাশি ব্রেকফাস্ট যেন ছাড় না যায়। রাস্তার খাবার যেমন চিপস, চকোলেট, রোল, চাউমিন এসব অতিরিক্ত না দেওয়াই ভাল ছোটদের।

আরও পড়ুন: সন্তান জন্মানোর পর মায়ের দেখভাল অত্যন্ত জরুরি

ফুড হ্যাবিট তৈরি হয় ছোটো থেকেই। তাই ছোটো থেকেই শাকসবজি, তেতো এসব খাওয়া অভ্যাস করান আপনার শিশুকে। অনেকেই ছোটো থেকে ডাল-ভাত, সবজি সব একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া অভ্যাস করান ছোটোদের। এতে অনেক বড়ো বয়স অবধিও সমস্যা হতে পারে। কাজেই ওকে খাবারের স্বাদ বুঝতে দিন। একা হাতে খেতে শেখান। এ ক্ষেত্রে  আপনার শিশুর ওজন বা উচ্চতা উনুযায়ী ওকে কী ধরণের খাবার দেওয়া উচিৎ তা কোনও ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে পারেন।ভাল খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে ওকে বোঝান। কী খাবারে কী ক্ষতি হয় ওকে গল্পের মতো করে বলুন। পাশাপাশি মনে রাখবেন, আপনার খাদ্যাভ্যাস দেখেই কিন্তু ও শিখবে। কাজেই আপনি কী খাচ্ছেন বা কতটা বাইরের খাবার খাচ্ছেন এ বিষয় অবগত হওয়া খুব জরুরি।

স্কুলের টিফিনের জন্য ম্যাগি, পেস্ট্রি, পিৎজা এইধরনের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। ওর টিফিনের জন্য তৈরি করুন কিছু পুষ্টিকর খাবার। ওর পছন্দ অনুযায়ী খাবার বানান, তবে খেয়াল রাখুন, পুষ্টির ক্ষেত্রে আপস করবেন না। ডায়েট প্ল্যান বানানোর সময় মাথায় রাখুন ক্যালশিয়াম, আয়রণ, প্রোটিন (ডিম, মাছ, মাংস), ভিটামিন এ এবং ডি-র পাশাপাশি দুগ্ধ জাতীয় খাবার যেমন দুধ, দই, মাখন ঘি, শাকসবজি, সবই যেন পর্যাপ্ত পরিমানে থাকে খাদ্য তালিকায়। স্কুলের টিফিনে নানারকম সবজি দিয়ে তরকারি আর পনির পরোটা দিতে পারেন।ওটসের বা ডালের কুকিজ বানিয়ে রাখুন। পনির, সবুজ শাকসবজি দিয়ে মুখরোচক স্যান্ডুইচ দিতে পারেন সসের সঙ্গে। পাশাপাশি রাখতে পারেন ওটস বা চিড়ের পোলাও বা সুজির উপমা। ওর পছন্দের ফল দিয়ে ফ্রুট স্যালাড বানিয়ে দিতে পারেন। তালিকায় রাখুন কাস্টার্ড, প্যান কেক, ড্রাই ফ্রুটসও।

food
Advertisment