শরীরচর্চা করা একেবারেই খারাপ নয়, বরং শরীরকে সুস্থ রাখতে, ফিট থাকতে গেলে একটু আধটু ব্যায়াম কিংবা যোগা করাই যায়। অনেক সময় দেখা যায় নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়ামই কোনও মানুষকে ধার্য করা হয়। আবার কেউ কেউ বেশ কিছু ব্যায়াম করতেও পারেন না, শারীরিক গাফিলতি হোক কিংবা হাড়ের অবনতির কারণে।
Advertisment
প্ল্যাঙ্ক কিন্তু এমন একটি অভ্যাস যেটি আপনার শরীরের পক্ষে খুব কার্যকরী। অনেক সময় দেখা যায় যাদের হাড়ের জোর কমে যায় অথবা শ্বাস নেওয়ার সমস্যা থাকে তারাও এটি অভ্যাস করলে অনেকটা লাভ পান। বিশেষ করে এই প্রচন্ড গরমে প্ল্যাঙ্ক অভ্যাস করলে কিন্তু খুবই ভাল, এতে কষ্টও হয়না কিন্তু শরীর সুস্থ থাকে।
কেন অভ্যাস করবেন প্ল্যাঙ্ক?
শরীরে কোনও ক্ষতি করবে না বরং আপনার পক্ষে লাভদায়ক এমন কিছু কিন্তু একেবারেই অভ্যাস করা উচিত।
প্রথম কথা, এটি দৈহিক সঙ্গতি বজায় রাখে। অর্থাৎ উঠতে বসতে গেলে যাতে শরীরে ব্যথা না লাগে, কিংবা গাঁটের ব্যথা না হয়, সেই বিষয়েও ভাল কাজ করে।
দ্বিতীয়, শিরদাঁড়া কিংবা কোমরের ব্যথা কম করতে এর জুড়ি মেলা ভার। অনেক সময় দেখা যায়, অকারণে শটকা লেগে গেলেও এটির মাধ্যমে সহজে রেহাই পাওয়া যায়।
তৃতীয়, মেটাবোলিজম এর মাত্রা বৃদ্ধি করে ফলে হজমের সমস্যা দুর হয়। কারণ এটি পেট, তথা পিঠের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে। টানের ফলে বেলি ফ্যাট পর্যন্ত কমে।
চতুর্থ, পেশী এবং হাড়ের জোর বাড়ায়। হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়। অনেক সময় পেশীর ফাইবার, ভাঁজ হয়ে যায় তখন সেই থেকেও এটি রেহাই দিতে পারে।
সঠিক ভাবে অভ্যাস করার পদ্ধতি :-
মেঝের ওপর হাতের ওপরের অংশ সোজা অবস্থায় রাখুন। কাঁধের সঙ্গে হাতের ওপরের অংশ যেন সমান অবস্থায় থাকে। যদি হাত সোজা অবস্থায় রাখতে কষ্ট হয় তবে খেয়াল রাখবেন, হাত জড়ো করে নিন।
পায়ের পাতার ওপর আলতো ভর দিয়েই বডি তোলার চেষ্টা করুন। যেন সমান লাইনে থাকে, তাহলে শিরদাঁড়ায় ব্যথা কম হয়। হাঁটু নিয়ে সাবধান, একে বন্ধ করবেন না অথবা নিচুও করবেন না।
আসতে ধীরে মাথা তুলুন। হাতের থেকে কিছু দূরত্বে কোনও জিনিসের ওপর ফোকাস করুন। ঘাড় যেন সমান থাকে, তবে খুব শক্ত করবেন না।