সারা দুনিয়ায় এখন একটাই যুদ্ধ চলছে। প্রত্যেকটা দেশ মিত্রপক্ষ। অন্যদিকে একজনই প্রতিদ্বন্দী। করোনা ভাইরাস। এমন অভিনব যুদ্ধ বোধহয় এই পৃথিবী দুটো দেখেনি। তবে কী না, সবেরেই নাকি একটা ভালো দিক থাকে। এই করোনারও নাকি আছে। গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক সংবাদপত্রে বলা হয়েছে করোনার নাকি ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে সমাজে।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের ওয়েলবিয়িং প্রোগ্রামের অধ্যাপক এবং কো-ডিরেক্টর রিচার্ড লায়ার্ড জানালেন সুখের সূচক অনুযায়ী সব দেশের তালিকার শীর্ষে বরাবরই থাকে ফিনল্যান্ড, এবারেও তাই। তবে ব্রিটেন এবার দু-ধাপ এগিয়ে ১৫ থেকে ১৩ নম্বরে এসেছে। মোট ১৫০ টি দেশকে নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়। দুর্নীতির না থাকা, স্বাধীনতা, মানুষের মধ্যে দয়া, মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু, এই সব বিষয় গণ্য করেই তৈরি হয় হ্যাপিনেস ইনডেক্স বা সুখের সূচক।
আরও পড়ুন, কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় এই নিয়মগুলো মানতেই হবে
এই প্রসঙ্গে লায়ার্ড বলেছেন, "সুখের চাবিকাঠি পেতে আমাদের কিন্তু সামজিক যোগাযোগ বাড়াতেই হবে। সামাজিক দায়িত্ব বাড়াতে হবে। বেশ অনেককেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এই পরিস্থিতিতে দরকার সহযোগিতা। আমরা যে সবাই খোপে খোপে ভাগ হয়ে বসে আছি, কেউ কারোর খবর রাখিনা, আমাদের আর একটু যত্নশীল হতে হবে"।
হ্যাঁ, আমাদের রোজ রোজ দেখা হবে না, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে। আরো দায়িত্ববান হয়ে উঠলে একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে। আর কারোর জন্য নয়, অন্যের জন্যেও নয়, এই সবই আসলে নিজের জন্য, আমাদের সবার জন্য।
অদ্ভুত সংকটের দিন। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি, করোনা আমাদের কাছে এনেছে, আমাদের বলার সময় এসেছে, "আমরা করোনার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ছি"।