Advertisment

করোনার ভয় কাটতেই টেবিল উপচে পড়ছে ডিভোর্স ফাইলে!

কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টানা এতদিন ঘরবন্দি জীবন এর আগে কখনও কাটাতে হয়নি দম্পতিদের। ফলে কারণে অকারণে ঝগড়া হয়েছে। আর দীর্ঘদিন একসঙ্গে সময় না কাটানোর ফলে মনের ব্যবধান হয়ে গিয়েছে বিস্তর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ছবি সূত্র-পিক্সাবে

এই যে বাধ্যতামুলক লকডাউন নিয়ে রোমান্টিক মিমে ভরে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া, আসলে লকডাউন কতোটা সুখকর? করোনার সঙ্গে যুঝতে সারা দুনিয়া জুড়েই শুরু হয়েছে লকডাউন। কোথাও এক মাস, কোথাও দেড় মাস, কোথাও তিন, সপ্তাহ ধরে টানা চলেছে লকডাউন। ঘরবন্দি জীবন। অফিস নেই, কাজে যাওয়া নেই। নিজের পছন্দ মতো বাড়ির বাইরে সময় কাটানোর কোনও উপায়ই নেই। এ হেন পরিস্থিতিতে সামনে এসেছে আশ্চর্য এক তথ্য। করোনার এপিসেন্টার চিনে করোনার প্রভাব কিছুটা কমেছে। তবে তা খুব স্বস্তি দিতে পারছে না অনেককেই। ছন্দে ফেরার সময়ে আসলে ছন্দ পতন। সে দেশের ডিভোর্স আইনজীবীদের চাহিদা বাড়ছে চড় চড় করে। কারোর পৌষ মাস, কারোর সর্বনাশ! ঘর ভাঙতে শুরু করেছে চিনের ঘরে ঘরে।

Advertisment

আরও পড়ুন, স্ত্রীয়ের আয় বেশি হলে বাড়ে পুরুষের নিরাপত্তাহীনতা

কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টানা এতদিন ঘরবন্দি জীবন এর আগে কখনও কাটাতে হয়নি দম্পতিদের। ফলে কারণে অকারণে ঝগড়া হয়েছে। আর দীর্ঘদিন একসঙ্গে সময় না কাটানোর ফলে মনের ব্যবধান হয়ে গিয়েছে বিস্তর। ভুল বোঝাবুঝি মেটানোর কোনও তাগিদও দম্পতিরদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। তার ফলে ভয়ংকর এই বিপর্যয় থেকে স্বস্তি পাওয়ার সাথে সাথেই বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আইনজীবীর শরণাপন্ন হচ্ছেন তাঁরা।

চিনের কোনও একটি অঞ্চলেই যে এমন ঘটছে, তা কিন্তু নয়, সমগ্র দেশজুড়েই ছবিটা কম বেশি এক। ছোট্ট একটা পরিসংখ্যান দেওয়া যাক। জানুয়ারিতে প্রথম দক্ষিণ পশ্চিম চিনে ছড়াতে শুরু করে করোনা। ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে জমা পড়া ডিভোর্স ফাইলের সংখ্যা ৩০০-এর বেশি।

আরও পড়ুন, বিচ্ছেদের পরেও বন্ধু থাকা সম্ভব?

বাকি দেশের কথা এখনই বলা সম্ভব নয়, কারণ সে সব জায়গায় করোনা এখনও দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছোয়নি। করোনা যুদ্ধ জিতেও স্বস্তি আছে? কে বলতে পারে, করোনা শেষ হয়ে গেলে সব অন্ধকার ফুরোবে? শেষের সে দিন কি আরও ভয়ংকর?

coronavirus
Advertisment