দাঁতে ব্যথার কোনও সময় নেই, এমনকি কোনও বয়সও নেই। যেকোনও সময় এটি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে রাতের দিকে এই ব্যথা সবথেকে বেশি ভোগায়। দাঁতের সঙ্গে সঙ্গে এক ধরনের শিরশিরানি কিংবা মাথা ব্যথা এগুলি খুব স্বাভাবিক। তাছাড়াও, তখন সাধারণ তাপমাত্রার জল খেলেও কিন্তু কষ্ট বাড়তে পারে।
দাঁতে ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে মুখ এবং গাল ফুলে যাওয়া এগুলি কিন্তু দেখা যায়। রাতারাতি ব্যথা স্বল্প সময়ের জন্য কমানোর ক্ষেত্রে কিন্তু লবঙ্গ বেশ কার্যকরী। যদিও বা অনেকেই লবঙ্গ দাঁতের গোড়ায় নিয়ে শুধুই শুয়ে থাকেন, আদৌ এর থেকে কোনও লাভ কিন্তু সেভাবে হয় না। বরং খেয়াল রাখতে হবে, একে কীভাবে ব্যবহার করলে ব্যথা বেদনা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
লবঙ্গের মধ্যে অত্যধিক পরিমাণে ইউগেনোল থাকে এবং এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তাই সহজেই ব্যথা কমাতে পারে। দাঁত ব্যথা এবং মাড়ির ফোলাভাব কমাতে বেশ কার্যকরী।
শুধু লবঙ্গ ছাড়াও কিন্তু লবঙ্গের জল এক্ষেত্রে ভালভাবে কাজ করতে পারে। সামগ্রী একটু বেশিই লাগবে তবে লবঙ্গ, ইউক্যালিপটাস পাতা এবং জোয়ান একসঙ্গে জলে ফুটিয়ে নিতে হবে। সেই ফোটানো জল দিয়ে কুলকুচি অথবা গারগেল দুটোই করা যায়। এবং ব্যথার প্রথম দিন থেকেই এটি করতে থাকলে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন [ পাঁচফোড়ন শরীরের পক্ষে ভীষণ উপকারী, কীভাবে? ]
এছাড়াও লবঙ্গ তেল ভীষণভাবে দাঁতের ব্যথা কমাতে পারে। লবঙ্গ তেলের সঙ্গে অল্প পরিমাণে নারকেল তেল অথবা বাদাম তেল মিশিয়ে দাঁতের গোড়ায় লাগিয়ে রাখতে হবে। ব্যথাও কমে এমকি দাঁতের পোকা জাতীয় সমস্যাও কমে।
লবঙ্গ ভাল করে বেটে নিয়ে সেই মিশ্রণও দাতের গোড়ায় লাগালে যথেষ্ট আরাম পাওয়া যায়। অবশ্যই তার সঙ্গে খেয়াল রাখবেন মাঝে মধ্যে পেয়ারা পাতা কিংবা নিম দাতন দিয়ে দাঁত মাজা অভ্যাস করতে।