পাঁচফোড়ন শব্দটাই কিন্তু বেজায় জটিল তবে সুন্দর। বাংলার রসনাতৃপ্তির ক্ষেত্রে একে ব্যবহার করা হয় স্বাদের কারণে, আবার অনেক সময় দেখা যায় মানুষের ব্যক্তিত্ব বোঝাতেও পাঁচফোড়ন উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এর গুণ নজর কাড়ার মত! যেমন?
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ অন্বেষা মুখোপাধ্যায় বলছেন, এই মশলা একেবারেই গুঁড়ো করে দেওয়া হয় না। বরং দেখা হয় যাতে, সমস্ত মশলা সমান পরিমাণে থাকে। তিনি আরও বলছেন মশলার ক্ষেত্রে অবশ্যই গোলমরিচ ব্যবহার করতে হবে। নইলে খুব মুশকিল। এই মশলা তেলে দিলেই তার স্বাদ যেমন বাড়ে তেমনই দেখা যায় এর গুনাগুন অনেকটা বেড়েছে। তবে এটিকে গুঁড়ো আকারে ব্যবহার করা হয় কেবলমাত্র স্টু এবং নির্দিষ্ট কিছু রান্নার ক্ষেত্রে।
এই পাঁচফোড়নে কি নেই! মিষ্টি, নোনতা, ঝাল, টক, তেতো, এবং বিস্বাদ সবকিছুই রয়েছে। আয়ুর্বেদ বলছে এই সবকিছুই কিন্তু মানুষের দৈহিক এবং মানসিক শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীর ঠাণ্ডা রাখে, এর ব্যালেন্স ধরে রাখে।
কী কী থাকে এই পাঁচফোড়ন মশলায়?
Advertisment
মেথি, সর্ষে, জিরে, কালো জিরে, মৌরি - সব মিলিয়েই এক অভিনব স্বাদ এই মশলার। সব রান্নায় যায় না আবার যাতে প্রয়োজন সেটিতে না দিলে খুবই মুশকিল।
মেথি ব্লাড সুগার আয়ত্বে রাখে, শরীরকে ঠান্ডা করে এবং সঙ্গেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে। চুলের রুক্ষতা দূর করে।
জিরে হজমের সমস্যায় সর্বদা সহায়ক। শুধু তাই নয়, এটি প্যানক্রিয়াটিক সেলের নানান রোগ দুর করতে পারে। জিরের ঝোল পেট ঠান্ডা করতে পারে। ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কালো জিরে প্রচুর গুণ সমৃদ্ধ! এতে সোডিয়াম পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম ছাড়াও অন্য ধরনের উপাদেয় থাকে। এটি ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা কমায়। হাইপারটেনশন, ব্যথা, চোখের সমস্যা এগুলি কম করে।
মৌরি ব্লাড প্রেসার দুর করে। এছাড়াও, হার্টের সমস্যা কম করে। ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলে, ঋতুস্রাবের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। স্কিনের নানা সমস্যা দুর করতেও এটি সক্ষম।
সর্ষে এমনিতেও গুণসম্পন্ন। এটি গ্যস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ক্যানসার এমনকি অস্থমা জাতীয় রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। চোখ মুখের ভাঁজ দুর করে। তাই বলা উচিত যদি পাঁচফোড়ন রান্নার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় তবে শরীরের একেবারেই ক্ষতি হবে না।