ফের একবার সোডা বদলাচ্ছে কোকা-কোলা কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য ক্লাসিক নরম পানীয়গুলির মধ্যে কোকাকোলার গ্রাহক সংখ্যা বেশি। এর আগেও ১৯৮৫ সালে তারা নিজেদের টেস্ট পরিবর্তন করার ঝুঁকি নিয়েছিল যদিও বা, তা একেবারেই ফলপ্রসূ হয়নি। এবার শুধু স্বাদ নয়, বদলাচ্ছে বোতলের আউটলুক, কোকা-কোলা জিরো সুগার যা কোক জিরো নামে পরিচিত (ডায়েট কোকের সুগার সংস্করণ) নিয়ে আসা হচ্ছে নতুন ভাবে।
কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, এরূপ সিদ্ধান্তের কারণ যাতে কোকা-কোলার এই নতুন আইকনিক সোডা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। এবং তারা এইবার যথেষ্টই আশাবাদী নতুন পরিবর্তন নিয়ে। তবে, গভীর সংকোচে গ্রাহক মহল। কোকা-কোলার কিছু নির্দিষ্ট গ্রাহকর কোক ছাড়া কিছুই পান করেন না। তাঁরা যথেষ্ট উদ্বেগ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই বিষয় নিয়ে। অনেকের মতেই তাঁরা তাঁদের পানীয় প্রয়োজনে বদলে ফেলবেন, ডায়েট ডক্টর পেপার বা কোকা-কোলার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পেপসিকে পানীয় হিসেবে গ্রহণ করবেন।
১৯৮৫ সালে যখন প্রথমবারের মতো কোকা-কোলার স্বাদ পরিবর্তন করার কথা ভাবা হয়, “দ্য নিউ কোক” - কোকা-কোলার সুগারি ভার্সন এই হিসেবে মার্কেটে লঞ্চ করা হলেও গ্রাহকদের কাছে তা একেবারেই পৌঁছাতে পারেনি। সারাদিনে প্রায় ১৫০০ কল কোকাকোলার কনজ্যুমার হটলাইনে আলোড়ন সৃষ্টি করে নতুন কোকের টেস্ট নিয়ে। তার কিছুদিন পরেই জুলাই মাসে, কোকা-কোলা সংস্থার তরফে ঘোষণা করা হয়, পুরনো কোক আবার রিস্টোর করা হবে, গ্রাহক যা চাইছেন তাই তাঁদেরকে ফেরত দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন ক্যাঙারুর দেশে আলু-ভর্তা, পান্তা ভাত বানিয়ে মন জয় করলেন বাঙালি রাঁধুনি
কোকা-কোলা সবসময়ই অল্পবয়সীদের কাছে এক জনপ্রিয় পানীয়। তাছাড়াও এর বাজারদর সবসময়ই বেশি। কোকা-কোলার নতুন টেস্ট, কেবলমাত্র এর অন্যান্য উপাদানগুলোকে আরও বেশিমাত্রায় অনুকূল করবে এবং তাতে এর স্বাদ বৃদ্ধি পাবে বলেই আশা করছে সংস্থা। যদিও বা গ্রাহকের থেকে বড় টেস্টার আর কিছুই হতে পারে না। তবে তাঁদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এর উপাদানের পরিবর্তনের কোনওরকম সুযোগ নেই। পরিমাণের রকমফের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন