ডিপ্রেশন, উদ্বেগ আর মানসিক চাপ এই মিলিয়েই তো এখন জীবন। কটা মানুষ আর প্রাণ খুলে হাসতে পারে? ইমোশনের ঝুলিটা এখন বেশ হালকা! কিন্তু মানুষের মন আর জীবন দুটোই কিন্তু থামবার নয়। নতুন করে বাঁচার, মানসিক শান্তি তে থাকার ইচ্ছে সকলের থাকে। কেউ কেউ মন খুলে অনেক কিছুই বলতে পারে আবার কেউ কেউ সেটা পারে না। তবে রাগ, ক্রোধ, ভাললাগা সকলের থাকে।
বিশেষজ্ঞ টিম গ্রে বলছেন মানুষের মনের ওপর হাত কিন্তু কারওর নেই! বরং মানসিক দশাকে বদলানো খুব একটা সোজা নয়। চেষ্টা করতে হবে যাতে মন অনুযায়ী নিজেকে ট্রিট করা যায়। তিনি বলছেন যখন মনেরভাব যেমন হবে সেটিকে কার্যকর করার জন্য বেশ কিছু উপায় আছে, সেই নির্দিষ্ট সময়ে সেই কাজ করলে আপনি মানসিকভাবে শান্তি পেতে পারেন। যেমন,
রাগ হলে কোনদিকে না তাকিয়ে সোজা ব্যায়াম করা উচিত। রাগের সঙ্গে সঙ্গে শরীরচর্চা খুব ভালভাবে আপনাকে মানসিক শান্তি দিতে পারে। তাই এই সময় ব্যায়াম করা সবথেকে ভাল।
যখনই কোনও কাজে মন বসবে না তখন, আরও বেশি করে নিজেকে গভীর চিন্তায় ফেলে দেওয়া উচিত। তবেই কিন্তু মন আরও ভালভাবে ভাবতে শুরু করবে। যত বেশি ফোকাস থাকবে ততই মঙ্গল।
মাঝে মধ্যেই উদ্বেগ বেড়ে যায়? তখন মন মানসিক আর সঙ্গ দেয় না, তাহলে সেই সময় ভাল চিন্তা করুন, দরকারে প্রাণায়াম করুন! যোগা করুন এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে।
অত্যন্ত বিরক্ত লাগছে? সবকিছুই খুব অস্থির? তাহলে বেশি ভাবা বন্ধ করে দিন। এইসময় প্রতিক্রিয়া দেওয়াই উচিত নয়। বরং মাথা শান্ত রাখতে শিখুন।
ক্লান্ত অনুভব করছেন? তবে বেশি না ভেবে একটু চটপট বিশ্রাম নিয়ে নিন। নিজেকে রিচার্জ করতে গেলে এর থেকে ভাল অপশন আর নেই! তাই খুব আরামে থাকলেই ভাল।
জীবনে একেবারেই ভাল কোনও অনুপ্রেরণা নেই? ইচ্ছেও চলে গেছে? নিজেকে ফের কাজের সঙ্গে জড়িয়ে দিতে গেলে, যান! একটু স্নান করে আসুন। দেখবেন অনেক হালকা লাগছে অনেক কাজে দেবে!
সন্দেহের ঘেরাটোপে পড়েছেন? তাহলে চিন্তা করার কিছুই নেই! বরং নিজেকে একবার ভাল করে বোঝার চেষ্টা করুন। সন্দেহ থেকে বেরিয়ে আসুন, নিজেকে সময় দিন।
সঙ্গেই তিনি বলছেন, যদি স্ট্রেস খুব বেশি থাকে তবে কাজ ছেড়ে দিয়ে একটু সময়ের জন্য হলেও বাইরে গিয়ে প্রকৃতির মাঝে বসুন, হালকা লাগবে। নিজেকে ভাল রাখতে গেলে নিজেকে বেশ কাজের সঙ্গে জড়িয়ে দিতে হবে! জীবন সহজ করতে গেলে এর থেকে ভাল কিছুই হয়না।