Do You Know West Bengal’s State Fruit?: ভারত ও ভারতের প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব রাজ্য ফল রয়েছে। সেগুলো পরস্পরের থেকে আলাদা। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তবে, রাজ্যের বাসিন্দাদের অনেকেই জানেন না যে অন্যান্য রাজ্য়ের মত পশ্চিমবঙ্গেরও নিজস্ব রাজ্য ফল রয়েছে। আর, সেই ফলের নাম জানা তো দূর-অস্ত। যদিও সেই ফল আমাদের সকলেরই কমবেশি অত্যন্ত পরিচিত। আর, আমরা প্রত্যেকেই কমবেশি কখনও না কখনও তা খেয়েছিও।
কেন এভাবে বলা হচ্ছে? কারণ, পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং খাদ্যরসিকতার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হল আম। আর সেই আমের রাজা হল হিমসাগর। যা রাজ্য সরকারের স্বীকৃতি পেয়েছে রাজ্য ফল হিসেবে। এটি শুধু একটি ফল নয়, হিমসাগরের সঙ্গে যেন বাংলার মাটির গন্ধ, আবেগ আর ঐতিহ্যের স্বাদ জুড়ে আছে।
হিমসাগর আম মূলত মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও মালদা জেলার গর্ব। রাজ্যের এই জেলাগুলোতেই মূলত আমচাষ হয়। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুন মাসের শুরু অবধি এই চাষের মরশুম। অনন্য সুগন্ধ, সুমিষ্ট রস, আঁশহীন রঙিন গোঁফা আর পাতলা খোসা— সব মিলিয়ে হিমসাগর সত্যিকার অর্থেই ‘স্বাদের সেরা’। এটি শুধু রাজ্যবাসীর নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও একাধিকবার প্রশংসা কুড়িয়েছে।
এই আম রফতানির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ গোটা দেশের মধ্যে কৃষিতে এক উল্লেখযোগ্য অবস্থান তৈরি করেছে। রাজ্য সরকার জিআই ট্যাগ-সহ নানাভাবে এই আমের মানরক্ষা এবং বাজার সম্প্রসারণে উদ্যোগী হয়েছে। হিমসাগরের গুরুত্ব শুধু অর্থনীতিতে নয়, বাঙালির আবেগেও জড়িয়ে। গ্রীষ্মকালে পাতাঢাকা গাছ থেকে ঝুলতে থাকা সোনালি হিমসাগর যেন বাংলার প্রকৃতির ক্যানভাসে এক উজ্জ্বল ছোঁয়া। মধুর এই ফল পারিবারিক এবং সামাজিক আনন্দের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে। পাড়ার আমবাজারে হিমসাগরের ঘ্রাণ মানেই গ্রীষ্ম এসেছে। এটা বাঙালি মাত্রেই জানে।
আরও পড়ুন- Repo Rate কী, কেনই বা দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
তাই পশ্চিমবঙ্গের এই আমরাজ তাই শুধু খাদ্য নয়, এক সাংস্কৃতিক পরিচয়, যা যুগের পর যুগ বাঙালির মনে ও মাটিতে রাজত্ব করে চলেছে। কাঁচা থেকে পাকা, এই আম সব ভাবেই খাওয়া যায়। কাঁচা আম যেমন পুড়িয়ে বা সরবত করে খাওয়া হয়। তেমনই নুন দিয়ে কাঁচামিঠে আম খাওয়ার চলও রয়েছে এই রাজ্যে। পাশাপাশি, আচার এবং চাটনি তৈরিতেও কাঁচা আম ব্যবহার করা হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশের দাবি, আমে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।