RBI Cuts Repo Rate to 6%: What It Means for Borrowers, Savers, and the Economy: রেপো রেট হলো সেই হার, যেটি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলোকে ঋণ দেওয়ার সময় ধার্য করে। অর্থাৎ, যখন কোনো ব্যাঙ্ক নগদের ঘাটতি মেটাতে RBI থেকে ধার নেয়, তখন যে সুদের হার দেয়, সেটাই রেপো রেট। বর্তমানে এই হার ৬% স্থির করেছে আর্থিক নীতি নির্ধারক কমিটি।
৯ এপ্রিল, RBI-এর মনেটারি পলিসি কমিটি (MPC) রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৬ শতাংশে নামিয়েছে। একইসঙ্গে তারা মনেটারি স্টান্স “নিউট্রাল” থেকে “অ্যাকমোডেটিভ”-এ পরিবর্তন করেছে— এর অর্থ ভবিষ্যতে আরও হার কমানোর ইঙ্গিত।
কেন এই হার গুরুত্বপূর্ণ? কারণ RBI এই হার কমালে ব্যাঙ্কগুলোর কাছ থেকে টাকা ধার করা সস্তা হয়ে যায়। ফলে সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসা সংস্থাগুলো কম সুদে ঋণ পায়, এবং সঞ্চয়ের ওপর সুদও কিন্তু কমে যায়। এতে বাজারে নগদ প্রবাহ বাড়ে এবং খরচ ও বিনিয়োগ বেড়ে অর্থনৈতিক গতি আসে। বিপরীত দিক দিয়ে ভাবলে, রেপো রেট বাড়ালে বাজারে অর্থের প্রবাহ কমে গিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন- মার্কিন শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধসের প্রভাব ভারতেও? সমস্যার জল কতদূর গড়াবে?
RBI গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা বলেছেন, 'আমরা এখন মূল্যস্ফীতির চেয়ে মন্দার ভয় বেশি করছি।' জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মূল্যস্ফীতি ৩.৯%, যা পূর্বাভাসের চেয়ে কম। এর ফলে RBI-র অগ্রাধিকার এখন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার।
আরও পড়ুন- পলিটব্যুরো শব্দটা অনেকেরই চেনা, কিন্তু এর মানে কী জানেন?
বিশ্বজুড়ে শুল্ক-নির্ভর অনিশ্চয়তা ও ট্রেড ফ্রিকশনের মধ্যেও RBI-এর এই পদক্ষেপ ভারতীয় অর্থনীতিকে উজ্জীবিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলেই আর্থিক বিশেষজ্ঞদের আশা। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে আর্থিক নিয়ন্ত্রণ কমিটি আবার রেপো রেট বাড়িয়ে দেয়। ফলে, বাজারে সেই সময় অর্থের জোগান কমে যায়। তখন জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন- ট্রাম্পের আর্থিক উপদেষ্টাকে চরম অপমান মাস্কের, হোয়াইট হাউসে হচ্ছেটা কী?
বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলোও সেই সময় গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার সুদ বাড়িয়ে দেয়। ফলে, ঋণগ্রহীতার সংখ্যা এমনিতেই কমে যায়। ফলে, রেপো রেট বলতে গেলে এককথায় দেশের আর্থিক ব্যবস্থার অন্যতম চাবিকাঠি। যে চাবির মাধ্যমে দেশের মুদ্রা নিয়ন্ত্রক কমিটি দেশের অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করে।