স্কিনের প্রতি যত্ন নেওয়া সকলেরই উচিত কিন্তু তার সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে আদৌ নিজের স্কিনের টেক্সচার সম্পর্কে জানেন তো? নইলে কিন্তু বেশ মুশকিল। স্কিনের প্রতি যত্নশীল তখনই হওয়া যাবে যখন সঠিকভাবে এবং সঠিক প্রসাধনী ব্যাবহার করে তার যত্ন নেবেন। অনেক সময় খেয়াল্ করলেই দেখা যায় আদতে শুকনো স্কিন হলেই কিন্তু সেটি অস্বাস্থ্যকর নয়। তবে দুটির মধ্যে বেশ বৈচিত্র আছে।
শীত টোকা মারছে দরজায়। আর এই সময় দাঁড়িয়ে ত্বক শুষ্ক এবং খারাপ হতে বেশি পরিমাণে শুরু করে। ত্বক ফেটে যেতে শুরু করে তবে মনে রাখতে হবে, বেশ কিছু কারণেই কিন্তু এর লক্ষণ বৃদ্ধি পায়। বলা উচিত অনেক সময় শরীরে জলের পরিমাণ কম থাকলে স্কিন বেশি সাদা হয়ে যায় এবং সেই থেকেই হতে পারে সমস্যা তাই আগে ত্বকের প্রসঙ্গে জানতে হবে।
ড্রাই স্কিন এবং ডিহাইড্রেটেড এই শব্দদুটো যতই পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার হোক না কেন দুটির ধাঁচ কিন্তু একেবারেই আলাদা। গ্লো এবং গ্রিনের প্রতিষ্ঠাতা রুচিতা আচার্য্য বলেন, শুষ্ক ত্বক কিন্তু মানুষ জন্মমূহর্ত থেকে সঙ্গে নিয়ে আসে। স্বল্প পরিমাণে সেবাম নিঃসৃত হয় বলেই স্কিনের শুষ্কতা দেখা দেয়। মুখের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের সর্বত্রই ভাঁজ পড়া, কুচকে যাওয়া নিস্তেজ ভাব এগুলির হদিশ মেলে। তেল কিংবা সিরাম অথবা ময়েশারাইজার যেটাই লাগান না কেন সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের শোষন করে নিতে পারে।
কিন্তু ডিহাইড্রেটেড স্কিনের সংজ্ঞা কিন্তু অন্যরকম। এটি ত্বকের এমন এক অবস্থা যাতে আদ্রতা এবং অভাব থাকে। এমনকি বেশ কিছু সময় এই ত্বক সংবেদনশীল হতে পারে। বিশেষ করে শীতের সময় ভুল প্রসাধনীর প্রভাবে স্কিনের অবস্থা আরও শোচনীয় হতে পারে এবং ময়েশ্চারাইজার কিন্তু একেবারেই বাদ দেওয়া চলবে না।
তবে এর সঙ্গে এই দুই ধরনের স্কিনের বিশেষ করে শীতকালে কীভাবে যত্ন নিতে পারেন এই সম্পর্কে নিদারুণ কয়েকটি টিপস শেয়ার করেছেন তিনি। তার আগে কীভাবে বুঝবেন যে এটি আদৌ শুষ্ক নাকি হাইড্রেটেড বিহীন?
স্কিনের যেকোনও অংশে আলতো করে চিমটি কেটে দেখুন। যদি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে বেশি সময় নেয় তবে জানবেন এতে হাইড্রেশনের অভাব রয়েছে আর যদি দেখেন সেই নির্দিষ্ট জায়গায় ভাঁজ পড়েছে অথবা চুলকাচ্ছে তাহলে বুঝবেন আপনার ড্রাই স্কিন।
যে বিষয়গুলিতে অবশ্যই নজর দিতে হবে তার মধ্যে, হঠ করেই প্রোডাক্ট বদলানো যাবে না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে এবং যদি ডিহাইড্রে টেড স্কিন হয় তবে কিন্তু বেশ সমস্যা প্রসাধনী পরিবর্তন করলে।
শুধু মুখ নয় সঙ্গে সারা দেহের দিকে নজর দিন। বডি স্ক্রাব অবশ্যই শীতকালে ব্যবহার করুন এবং ভাল কোনও ক্রীমি বডি লোশন অবশ্যই ব্যবহার করুন। কারণ ঠান্ডা শরীরের সর্বত্রই লাগে।
আরও পড়ুন < পানিফলের এত গুণ সম্পর্কে আগে জানতেন? >
দুই ত্বকের মানুষদের ক্ষেত্রেই রোজ পাতিলেবু এবং মধু রও খাওয়া অভ্যাস করুন, জল ছাড়াই।
শীতকালে কমলালেবু খুবই সহজলভ্য থাকে, অন্তত একটি কোয়া মুখে এবং হাত পায়ে লাগানো অভ্যাস করুন।
দুই স্কিনের মানুষদের জন্যই চেষ্টা করবেন অতিরিক্ত গরম জল দিয়ে যেন স্নান না করেন। এতে কিন্তু খুবই সমস্যা হয়। যেমন স্কিন আরও খারাপ হয় তেমনি ফেটে বারোটা বেজে যায়।
শীতের পর্যায়ে এই বিষয়গুলি একটু ভেবে দেখবেন!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন