দেবী দুর্গার কৈলাস থেকে মর্ত্যে পা রাখতে আর বেশি দিন বাকি নেই। দুর্গাপুজো উপলক্ষে বাঙালিদের মধ্যে এখন সাজো সাজো রব। মা দুর্গার আসা এবং যাওয়া বিশেষ করে কীসে চেপে তিনি মর্ত্যে আসছেন তা নিয়ে সবার মধ্যেই কৌতূহল থাকে। পঞ্জিকা মতে এর তাৎপর্যও রয়েছে। কোন বাহনে তিনি আসছেন তা জানতে উদগ্রীব সকলেই। গত বছর থেকে গোটা বিশ্ব করোনার প্রকোপে ত্রস্ত। মারণ জীবাণুর হানায় মৃত্যু হয়েছে লাখো মানুষের। সব কিছুই স্তব্ধ করোনা অতিমারির জেরে।
Advertisment
এই অবস্থায় দেবীর আগমন ও গমন কীভাবে হবে তা নিয়ে উৎসুক বাঙালি। এতেই অন্তর্নিহিত রয়েছে পরিত্রাণের উপায়। এমনটাই বিশ্বাস শাস্ত্রমতে। বছরের বাকি দিনগুলি অনেকটাই নির্ভর করবে এর উপর। এবছর পুজো অক্টোবর মাসে। পঞ্জিকা অনুযায়ী, দেবীর এবছর আগমন ঘোটকে, অর্থাৎ ঘোড়ায়। যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত এই বাহন যুদ্ধের ইঙ্গিতবাহী। শাস্ত্রমতে, ঘোটকে আগমন মানে ছত্রভঙ্গ। অর্থাৎ যুদ্ধ, হিংসা-হানাহানি বাড়বে মর্ত্যে।
অতিমারীর আবহে কীভাবে সুষ্ঠুভাব-সংক্রমণ এড়িয়ে পুজো সম্ভব তার গাইডলাইন প্রকাশ করল কলকাতার পুজোওয়ালাদের সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব।
পঞ্জিকায় উল্লেখ, এবার মায়ের গমন দোলায়। দোলায় মানে পালকিতে। দোলায় গমনের অর্থ হল মড়ক লাগবে মর্ত্যে। গতবছর থেকে করোনা অতিমারির কারণে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে পৃথিবীতে। অনেকে তাঁর প্রিয়জনকে হারিয়েছেন অতিমারিতে। এবছর অক্টোবরেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ভারতে। কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারই সতর্কতা অবলম্বন করছে। তার মধ্যে দেবীর দোলায় গমন মানে অশনি সঙ্কেত বলে মনে করছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।
দেবীর মর্ত্যে আসা-যাওয়ার আরও দুটি বাহন হল গজ এবং নৌকা। গজে আগমন ও গমনের অর্থ হল শস্যশ্যামলা ধরিত্রী। একে শুভ ধরা হয়। তবে নৌকায় আগমন এবং গমন হলে তা মোটেও শুভ নয়। কারণ পঞ্জিকা মতে, এতে মর্ত্যে বন্যা-বিপর্যয় ডেকে আনে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন