Durga Puja 2024 Celebration: কলকাতার পুজোর আমেজ বিদেশের মাটিতে মেলে না। মেলা সম্ভব নয়। সেখানকার সংস্কৃতি আলাদা। তবুও নাছোড়বান্দা বাঙালি, বিদেশের মাটিতেও দুর্গাপুজোয় অনড়। কিছুটা হলেও তো কলকাতার স্বাদ মেলে। বাংলার পরিবেশটা পাওয়া যায়! তাই যতটা সম্ভব স্থানীয় পরিবেশ এবং পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই অন্যবারের মত এবারও বিদেশে দুর্গাপুজোর আয়োজন করে চলেছে বাঙালি।
আমেরিকা থেকে ব্রিটেন, নেদারল্যান্ড থেকে অন্যত্র- সব জায়গাতেই বাঙালির এই সংস্কৃতিকে বজায় রাখার চেষ্টা এবারও দেখা যাচ্ছে। তবে, অনেক জায়গাতেই পরিবেশ এবং পরিস্থিতি অনুকূল নয়। যেমন, ইংল্যান্ডের নরউইচ। সেখানকার বারোয়ারি দুর্গাপূজা হবে এবছরের ১৯ অক্টোবর। কোনও তিথি বা নক্ষত্রের ব্যাপার নেই। সবার ছুটিছাটা, পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোনওরকমে এই আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে। এটাই যথেষ্ট বলে মনে করছেন প্রবাসীরা। কর্মসূত্রে তাঁরা বিদেশের মাটিতে। কাজ বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে থাকতে হবে। তার সঙ্গে যতটুকু সম্ভব, নিজের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা যায়, এই আর কী!
এই ব্যাপারে নরউইচ বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ২০১৪ সালে প্রথম এই পুজো শুরু হয়। কোভিডের জন্য ২০১৯-এ পুজো বন্ধ ছিল। ২০২৩-এ ফের চালু হয়। এবারও পুজো হচ্ছে। টানস্টল এলাকার এক হিন্দু মন্দিরে দুর্গাপ্রতিমা প্রতিষ্ঠিত। সেখানেই পুজো হবে। এই প্রতিমারও একটা ইতিহাস আছে। সেখানকার একদল বাঙালি কলকাতা থেকে প্রতিমা ইংল্যান্ডে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা পাকাপাকি লন্ডনে চলে গিয়েছেন। যাওয়ার আগে প্রতিমাটি দিয়ে গিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের। ওই প্রতিমাই মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত। তারই পুজো হবে।
১৫ দিনে একবার খোলা হয় মন্দির
ওই মন্দির ১৫ দিনে একবার খোলা হয়। তখন দুর্গা-সহ অন্যান্য দেবতাদের পুজো হয়। মন্দিরটির তত্ত্বাবধান করে ইস্ট অ্যাংলিয়া বৈদিক কালচারাল সোসাইটি নামে এক অবাঙালি সংগঠন। তারাই প্রতিমার দেখভালেরও দায়িত্বে। ১৯ অক্টোবরের পুজোয় লন্ডন শহরের শেরিফও উপস্থিত থাকবেন বলেই বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা জানিয়েছেন। লন্ডনের হন্সলো থেকে এসে পুজো করে দিয়ে যাবেন তনয় মুখোপাধ্যায় নামে এক পুরোহিত।
আরও পড়ুন- রাবণের হাতেই অকালবোধন! রামের পুরোহিত ছিলেন স্বয়ং দশানন
তার মধ্যেই আয়োজন করা হবে সিঁদুরখেলা, ভোগ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। ইংল্যান্ডের সর্বত্র পুজো না হলেও যেখানে পুজো হয়, সেখানেই ছুটে যান স্থানীয় বাঙালিরা। প্রয়োজনে স্থানীয় হোটেলে ঘর ভাড়া নিয়ে পুজোর জায়গায় গিয়ে সময় কাটান, ভোগ খান, পুজো দেখেন, পুজো দেন। শুধুই বাংলার পরিবেশ ছুঁতে পাওয়ার নেশায়।