কথাতেই আছে 'চ্য়ারিটি বিগিনস অ্যাট হোম'। কাজেই আপনি আপনার সন্তানকে কেমন শিক্ষা দিচ্ছেন তার ওপরই নির্ভর করবে সে রাস্তায় অন্য়দের সঙ্গে কেমন আচরণ করবে। এ ক্ষেত্রে আপনার খুদেকে আপনি যত ছোট থেকে অন্যদের সঙ্গে মেশা, ব্যবহার, আচরণ শেখাবেন তত তাড়াতাড়ি শিখবে সে. কাজেই আজ থেকেই শুরু করুন, আপনার সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দিন। ওর ব্যক্তিত্ব গঠনের দিকে নজর দিন আজ থেকেই। আপনার জন্য় রইল কিছু টিপস।
আপনার খুদের রোল মডেল হয়ে উঠুন
ছোটোরা মা-বাবাকে দেখেই শেখে। এক্ষেত্রে আপনি পারেন আপনার খুদেকে ভাল শিক্ষা দিতে, কাজেই আপনি ওর সামনে যেমন ভাবে আচরণ করবেন, ও কিন্তু সেটাই শিখবে। তাই ওর সামনে সবসময় নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করুন, ভাল কাজ করুন, যাতে আপনার খুদে বড় হয়ে তার বাবা কিংবা মা-এর মতোই হতে চায়।
আরও পড়ুন: সমীক্ষা বলছে ভারতীয় শিশুরাই সবচেয়ে বেশি সাইবার লাঞ্ছনার শিকার
ধীরে শুরু করুন
একদিনে সব শেখাতে যাবেন না। শুরুতে অল্প অল্প করে শেখান। ওর বয়স অনুযায়ী ওর নেওয়ার ক্ষমতাও আপনাকে বুঝতে হবে। আগে বুঝে নিন নিয়ম কানুন, আচরণগুলো ঠিক কতাটা নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ওর, এরপর এগোন আস্তে আস্তে। অতিরিক্ত চাপ দিলে মস্তিষ্কে প্রভাব পড়তে পারে, যা ওর বিকাশে ব্য়াঘাত ঘটাবে।
ম্যাজিক ওয়ার্ডগুলো শেখান
”থ্যাঙ্ক ইউ” এবং “সরি”-র মতো শব্দবন্ধ ব্যবহার করতে শেখান ওকে। এবং প্রয়োজন মতো কখন কোথায় এগুলো ব্যবহার করতে হয় সেই শিক্ষাও দিন।
শান্তভাবে বলুন
অযথা বকাবকি করবেন না। আপনার মাথা ঠান্ডা রেখে ওকে শেখান. যেহেতু আপনার সন্তানের বয়স অনেকটাই কম, সেক্ষেত্রে ব্যক্তিত্ব গঠনের গুরুত্ব ও বুঝে নাও উঠতে পারে. তাই ধৈর্য ধরুন । হাল ছাড়বেন না। অযথা বকাবকি করলে ওর অকারণ জেদ চেপে যেতে পারে। এতে উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
প্রথমেই সেরা আশা করবেন না
খুদে কে সময় দিন। শেখার যেমন কোনও বয়স নেই, তেমন শেখার কোনও শেষও নেই। কাজেই আপনার বছর পাঁচ ছয়ের খুদের কাছ থেকে আপনি অতিরিক্ত আশা করে ফেলবেন না। ভাল কাজ, ভাল কথা বলা, এসব শিখতে ওকে খানিকটা সময় দিন। বয়স অনুযায়ী তা বদলাবে। এতে হতাশ হয়ে পড়ার কোনও কারণই নেই। তবে প্রথম ধাপেই আপনার সন্তান আচার আচরণের দিক থেকে সেরা সন্তান হয়ে উঠবে, তা ভেবে নেওয়া বোকামি।
পুরষ্কৃত করুন
আপনার সন্তান যখন কোনও ভাল কাজ করবে বা কথা বলবে, তার বদলে ওকে পুরষ্কৃত করুন, উৎসাহ দিন। এতে ওর মধ্যে ভাল কাজ করার আগ্রহ জন্মাবে, ফলে সে ভাল কাজ করতে থাকবে প্রায়ই। তবে খেয়াল রাখবেন, উপহার যেন অতি ব্যয়বহুল না হয়, এতে বিষয়টি নেশায় পরিণত হতে পারে। খেয়াল রাখবেন, সবটাই যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।