Eid al-Fitr 2018: পবিত্র রমজান মাসের শেষে আসে ঈদ-উল-ফিতর, যা সমগ্র বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ উদযাপন করেন। গোটা রমজান মাসের ২৯ বা ৩০ দিন ধরে চলে দিনভর উপোস, উপবাস ভঙ্গের ভোজকে বলা হয় ইফতার। একমাস পর ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ঘোষিত হয় ঈদের দিন, স্থানীয় ধর্মযাজকদের চাঁদের অবস্থান নির্ধারণের ওপর নির্ভর করে। মুসলিমরা একে অন্যকে আলিঙ্গন করে ঈদের শুভেচ্ছা জানান, এবং বাড়ির ছোটদের জন্য থাকে ঈদি, সে টাকাই হোক বা অন্য কোন উপহার।
ঈদের নামাজ সাধারণভাবে পড়া হয় মাঠ বা কমিউনিটি সেন্টারের মোট খোলা জায়গায়, নয়তো বা মসজিদে। প্রার্থনার পর থাকে ধর্মোপদেশ, যার পর সবাই আল্লার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করেন, এবং সমগ্র বিশ্বের সকলের জন্য চেয়ে নেন শান্তি এবং সংহতির আশীর্বাদ। এর পর চলে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে দেখা করে উৎসব উদযাপনের পালা।
Rahul Gandhi hosts #Iftar : Pratibha Patil, Pranab Mukherjee, Hamid Ansari in attendancehttps://t.co/l1hl4vNA3a pic.twitter.com/3JyK6OPhCm
— The Indian Express (@IndianExpress) June 13, 2018
আরও পড়ুন: Eid al-Fitr 2018: রমজানে হোম ডাইনিং, সঙ্গে আওয়াধি ঐতিহ্য
ঈদ উপলক্ষ্যে বিশেষ খাওয়াদাওয়ার আয়োজন তো থাকেই, এবং এই জিভে জল আনা খাদ্যের মধ্যে প্রধান হলো বিরিয়ানি, হালিম, নল্লি নিহারি, সিমুই, মটন কলজে এবং নানা প্রকারের কাবাব। ঈদের বিশেষ পোষাকও থাকে -- সাধারণত পুরুষদের ক্ষেত্রে কুর্তা পাজামা এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে শারারা বা সালোয়ার-কামিজ, সঙ্গে হিজাব।
এ তো গেল উৎসবের কথা। এবার আসি তারিখে। আগেই পড়েছেন যে ঈদের তারিখ নির্ধারিত হয় চাঁদের অবস্থান দেখে। কাজেই প্রায় প্রতিবছরই তারিখ শেষ মুহূর্তেই ঘোষিত হয়ে থাকে। এবছর ঈদের তারিখ নিয়ে জল্পনা অবশ্যই শুরু হয়েছে, প্রতিবারের মতই। আপাতত ধরে নেওয়া হচ্ছে জুন ১৬-তেই পালিত হবে ঈদ, যদি না ধর্মযাজকেরা মনে করেন যে চাঁদের অবস্থান অন্য তারিখের সম্ভাবনা নির্দেশ করছে। সেক্ষেত্রে যদি জুন ১৫-তেও পালিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: রমজানে ইফতার পাতে রকমারি, চেখে দেখতে পারেন
উল্লেখ্য, এবছর কলকাতা, পুণে-সহ বেশ কয়েক জায়গায় রমজান শুরুর দিন নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। এদিনটিও চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করেই নির্ধারণ করা হয়, এবং সৌদি আরবের চাঁদ দেখার সংগঠন অনুযায়ী যেদিন থেকে রমজানের উপবাস শুরু হওয়ার কথা, তার একদিন পর তা শুরু হয় উক্ত শহরগুলিতে, এবং প্রতিবেশী বাংলাদেশেও।
সে যাই হোক, রমজান যে শেষের মুখে, তা নিয়ে কোন ধোয়াঁশা নেই। কাজেই উৎসব আসন্ন। এবং তাই ঈদ মুবারক!