How To Identify Original Garlic: রসুন একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্য বর্ধক, যা প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং জৈব সক্রিয় যৌগে পরিপূর্ণ। অ্যালিসিন সমৃদ্ধ, এটিতে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, রক্তচাপ কমায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
এটি নির্দিষ্ট ক্যানসার প্রতিরোধে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। শরীর থেকে ভারী ধাতুগুলিকে ডিটক্সিফাই করার এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখার ক্ষমতা এটির সুবিধাগুলিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। রসুনের নিয়মিত ব্যবহার সামগ্রিক সুস্থতায় অবদান রাখতে পারে, এটি একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যের একটি মূল্যবান সংযোজন করে তোলে।
যাইহোক, বাজারে নকল জিনিসের ছড়াছড়ির মধ্যে নকল রসুনও রয়েছে। আসল রসুনকে নকল বা নিম্নমানের থেকে কীভাবে আলাদা করা যায় তা জানা খুব প্রয়োজন। পুষ্টিবিদরা দুটির মধ্যে পার্থক্য করার সহজ কিছু টিপস দিয়েছেন৷
আরও পড়ুন খুদেকে বানিয়ে দিন নলেন গুড়ের কাপ কেক, দোকানের কেক-পেস্ট্রি খেতে চাইবে না বাচ্চা
আসল বনাম নকল রসুন চেনার টিপস:
গড়ন:
আসল রসুন: এটি শক্ত, আঁটসাঁট এবং কোয়াগুলি বেশ পুরুষ্ঠ হয়। কোয়াগুলি সুগঠিত, কাগজের মতো খোসা থাকে। মূলত দেখতে সাদা, অফ হোয়াইট এবং হালকা বেগুনি।
নকল রসুন: কোয়াগুলি আলগা, নরম বা সরু হয়। কোয়াগুলি আকারে ছোট বা অনিয়মিত হতে পারে বা খুব সহজেই খোসা ছাড়ানো যায়।
গন্ধ:
আসল রসুন: খুব শক্তিশালী, তীক্ষ্ণ এবং স্বতন্ত্র রসুনের গন্ধ রয়েছে, বিশেষত যখন থেঁতা বা কাটা হয়।
নকল রসুন: গন্ধ খুব একটা শক্তিশালী নয়, যা দেখে বোঝা যেতে পারে এটি নকল বা নিম্নমানের।
স্বাদ:
আসল রসুন: কাঁচা অবস্থায় এর স্বাদ কড়া, মশলাদার এবং কিছুটা তেতো হয়। স্বাদে ঝাঁঝ থাকে এবং হাতের তালুতে ঘষলে গন্ধ অনেকক্ষণ থাকে।
নকল রসুন: স্বাদ ঝাঁঝহীন, জলযুক্ত হয়, রসুনের বৈশিষ্ট্যগত ঝাঁঝালো ভাব থাকে না।
ওজন:
আসল রসুন: আসল রসুন বেশ ভারী হয়, মোটাও হয়। এতে বোঝা যায় রসুন কতটা টাটকা।
নকল রসুন: এটি প্রায়শই হালকা মনে হয় এবং শুষ্ক প্রকৃতির হয় অর্থাৎ রস কম থাকে, দেখলে বুঝতে পারবেন এটা আসল নয় নকল।
কোথায় চাষ হয়:
আসল রসুন: এটি চিন, ভারত, স্পেন বা ক্যালিফোর্নিয়া (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের জন্য) মত পরিচিত রসুন উৎপাদনকারী অঞ্চল থেকে উদ্ভূত হয়।
নকল রসুন: কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা হয় বা চাষ করা হয়। এটির উৎস সম্পর্কে কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না।
কোয়ার গঠন:
আসল রসুন: রসুনের ভিতরে কোয়াগুলির গঠন এবং আকৃতি ঠিকঠাক থাকে। খোসা ছাড়ানোর পরও শক্ত থাকে এবং চট করে বের করা যায় না।
নকল রসুন: রসুনের ভিতরে কোয়ার আকার খুব ছোট বা খুব নরম হয়। কিছু নকল রসুনে কোয়াগুলি আঠার মতো লেগে থাকে।
অঙ্কুরিত:
আসল রসুন: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, আসল রসুন বেড়ে ওঠে। রসুন পুরনো হলেও দেখে বোঝা যায়।
নকল রসুন: নকল রসুন অঙ্কুরিত হতে পারে না বা স্প্রাউটগুলি অপ্রাকৃতিক দেখাতে পারে।
খোসা ছাড়ানো:
আসল রসুন: আসল রসুনের খোসা ছাড়ানোর সময়, ত্বক তুলনামূলকভাবে সহজে উঠে আসা উচিত, তবে খুব দ্রুত নয়। কোয়াগুলি শক্ত থাকবে।
নকল রসুন: খোসা খুব সহজে ছাড়ানো যায়, এতে কোয়াগুলি বিবর্ণ থাকে।