এই মন্দিরে প্রতিদিন দেবী নিজে থেকেই তিনবার রূপ বদল করেন। যা ভক্তদের কাছে পরম আশ্চর্যের বিষয়। কোথায় রয়েছে এমন মন্দির? মহারাষ্ট্রের নাগপুর শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে কোরাডি এলাকায়। মন্দিরটির নাম শ্রীমহালক্ষ্মী জগদম্বা টেম্পল। মন্দিরটির বয়স কমপক্ষে ৩০০ বছর। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবীর মূর্তিটি স্বয়ম্ভূ। কেউ তা প্রতিষ্ঠা করেনি। নিজে থেকেই আবির্ভূত হয়েছে মূর্তিটি। এই মূর্তি সকালে থাকে বালিকার বেশে। দুপুরে থাকে যুবতীর বেশে। রাতে থাকে বৃদ্ধার বেশে।
প্রায় ১৫০ একর জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছে এই মন্দির। মন্দিরের গর্ভগৃহ তৈরি হয়েছে রুপো দিয়ে। মহারাষ্ট্র সরকারের পর্যটন বিভাগ এই মন্দিরকে পর্যটনস্থলের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। চার বছর আগে মন্দিরটির সংস্কার করা হয়েছে। রাজস্থানের ধোলপুর থেকে আনা পাথর দিয়ে মন্দিরটির সংস্কার চলেছে। মন্দিরটির সামনে রয়েছে এক বিশাল বড় গেট। এই মন্দিরে দেবীর পছন্দের ফুল হল পদ্মফুল। তাই অগণিত ভক্ত এই মন্দিরে দেবীর কাছে পদ্মফুল পুজো দেওয়ার জন্য নিয়ে আসেন। এই মন্দিরে একটি প্রদীপ রয়েছে। যা সারা বছর সব সময় জ্বলে থাকে। এখানে রয়েছে একটি মহাদেবের মূর্তিও।
মন্দির চত্বরেই রয়েছে দোকান। সেখান থেকেই পুজোর সামগ্রী পাওয়া যায়। এই মন্দিরের আশপাশের অঞ্চল খুবই মনোরম এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। কোরাডি এলাকার আগের নাম ছিল যক্ষাপুর। কথিত আছে, যক্ষাপুরের রাজার সাত ছেলে ছিল। তারপরও রাজা এক কন্যাসন্তান চাইছিলেন। এজন্য রাজা পুজো করেন। পণ্ডিতদের পরামর্শে যজ্ঞ করেন। শেষ পর্যন্ত রাজার কন্যাসন্তান লাভ হয়। সেই কন্যাই কঠিন পরিস্থিতিতে রাজাকে পথ দেখাতেন। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে অনুপ্রাণিত করতেন।
আরও পড়ুন- খাস কলকাতায় মহাজাগ্রত দেবী, ভক্তকে খালিহাতে ফেরান না শ্যামসুন্দরী
ভক্তদের কাছে এই মন্দির শক্তিপীঠ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁরা মনে করেন এই মন্দিরে এসে দেবীকে দর্শন করলেই ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষলাভ হয়। এমনকী, নিঃসন্তান দম্পতিরা এই মন্দিরে এসে প্রার্থনা করলে সন্তানলাভ হয়। এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। দেবীর নিত্যভোগ হিসেবে থাকে ফল, মিষ্টি আর ড্রাইফ্রুটস।