Weight Management after 50: ৫০ বছর বয়সের পর ওজন কমানো বেশ চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। কিন্তু সঠিক কায়দা করলে অসম্ভবও সম্ভব হতে পারে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মেটাবলিজম ধীর হতে থাকে। তবে কিছু বিষয় মাথায় রেখে আপনি নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। এর জন্য সঠিক মানসিকতা এবং ভাল ডায়েট থেকে আপনি সাহায্য পেতে পারেন। যাতে আপনি ৫০-এর পরেও ফিট থাকতে পারেন।
ডায়েটিশিয়ান এবং সার্টিফায়ে় ডায়েট স্পেশ্যালিস্ট ডা. অর্চনা বাত্রা বলেছেন, ৫০ বছর বয়সের পর জীবনের একটা সময়ে পেশী, হরমোনাল ব্যালান্স এবং মেটাবলিজমে পরিবর্তন আসে। যাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা একটু মুশকিল হয়ে পড়ে। যদিও আপনি আপনার ডায়েট, জীবনযাত্রা এবং ব্যায়ামের উপর নজর দেন তাহলে জীবনে অনেক পরিবর্তন আসবে।
এই বয়সে ওজন কমানোর কী কী পদ্ধতি আছে সে বিষয়ে জেনে নিন-
ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করুন
৫০ বছর বয়সের পর যদি আপনি নিজের ওজন কম করতে চান তাহলে অবশ্যই অতিরিক্ত ক্যালোরি কমানোর চেষ্টা করুন। যখন আপনি জলখাবার, লাঞ্চ এবং ডিনার করবেন তখন মাথায় রাখবেন সেই খাবারে কত ক্যালোরি রয়েছে সেটা জেনে খান। এতে অতিরিক্ত ক্যালোরি ইনটেক থেকে বেঁচে যাবেন। বেশি খাবার খাওয়া থেকে বাঁচতে ছোট প্লেটে খান।
আরও পড়ুন অতিরিক্ত ওজনের জন্য শ্বশুরবাড়িতে হেনস্থা? ভূমির রুটিন ফলো করলে চার মাসেই হবে মিরাকল
রোজকার রুটিন ঠিক করুন
ভারসাম্য এবং স্ফূর্তির দিকে নজর দিন। দৈনন্দিন যোগব্যায়াম, স্ট্রেচিং করুন যাতে চোট লাগার আশঙ্কা কমে। এতে ঝরঝরে থাকবে শরীর।
কার্ডিও অ্যাক্টিভিটি
হার্টের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন। হার্টের স্বাস্থ্য এবং ক্যালোরি পোড়ানোর জন্য সাইক্লিং, সাঁতার, নাচ এবং হাঁটার মতো কাজকর্ম বাড়ান।
ব্যালান্সড ডায়েট নিন
প্রোটিন মেটাবলিজমকে বৃদ্ধি করতে এবং পেশীকে সুরক্ষিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
ডায়েটে ফল, সবজি, গোটা আনাজ, হেলদি ফ্যাট এবং প্রোটিন শামিল করুন। এতে পেশী এবং মনে শক্তি পাবেন।
প্রক্রিয়াজাত বা প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন
ভাজাভুজি খাবার, মিষ্টি জাতীয় স্ন্যাক্স এবং প্যাকেজড খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে প্রচুর অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রসেসড কার্ব থাকে। যা শরীরের জন্য মোটেও ভাল নয়।