রাতের ঘুম ভালো হলেই যে দিনভর চনমনে থাকে সবাই, তেমনটা কিন্তু ঘটে না। এবার কাজে কম্মে বেরোলে রোজকার ক্লান্তি গ্রাস করে এমনিতেই। সারাদিনই যদি ক্লান্ত থাকেন, না কাজে মন বসবে, না বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সময় কাটাতেও পারবেন না। আপনি সারা দিনে কী কী খাবার খাচ্ছেন, তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে কতটা চনমনে থাকবেন আপনি। এমনিতে খাবার খেলেও অল্প বিস্তর এনার্জি আসেই শরীরে। কিন্তু কিছু বিশেষ খাওয়ার খেলে বাড়তি কিছু এনার্জি আসে, যা আপনার ঘাটতিকে পুষিয়ে দেয়।
রোজকার ডায়েটে এই খাবারগুলো থাকলে ক্লান্তি দূর হবে সহজেই
প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি ৬ থাকে। এনার্জি লেভেল বাড়াতে এই খাওয়ার খুবই উপকারী। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সাইক্লিং-এর আগে একটা কলা খাওয়া আর এনার্জি ড্রিঙ্ক খাওয়া প্রায় সমান ব্যাপার। একটা কলা খেলে কিন্তু সারাদিন অনেকটাই চনমনে থাকতে পারবেন আপনি। এনডিওরেন্স অ্যাথলেটে যারা অংশগ্রহণ করেন, তাঁরা নিয়ম করে কলা খান এই কারণেই।
হোয়াইট রাইসের তুলনায় ব্রাউন রাইসের পৌষ্টিক গুণ বেশি থাকে। অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। এক কাপ ব্রাউন রাইসে সাড়ে তিন গ্রাম ফাইবার থাকে। গ্লাইসেমিকের মাত্রা কম থাকায় শরীরে রক্ত শর্করার মান নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন, দিনে ক’টা আমন্ড খেলে সবচেয়ে ভালো ফল পাবেন?
রাঙা আলু খেতেও যেমন সুস্বাদু, শরীরের এনার্জি লেভেল বাড়াতে খুব কার্যকর। একটা মাঝারি মাপের রাঙা আলুতে ২৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩.৮ গ্রাম ফাইবার থাকে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকে। কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট শরীরের মধ্যে বিপাক হতে অনেকটা সময় নেয়, তার ফলে সারা দিন অনেকটা সময় জুড়ে এনার্জি জোগাতে থাকে।
আহা! ডিম এমন এক খাবার, যার নাম শুনতেও ভালো লাগে। ডিমে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। যারা ডায়াবেটিক, তাদেরও ডিম খেতে কোনও বাধা নেই। এনার্জি বাড়ানোর জন্য দায়ি উত্তেজক লেউসিন অ্যামাইনো আ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে থাকে ডিমে।