Paush Kali: প্রতিবছর পৌষ মাসে দেবী পৌষকালীর আরাধনা করা হয়। পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশীতে এই পুজো করা হয়। এই পুজোর অন্যতম উপকরণ হল মুলো। দেবীকে মূলো দানের পর চৈত্র মাস পর্যন্ত ভক্তরা আর মূলো খেতে পারেন না। এমনই রীতি প্রচলিত আছে। কথিত আছে, এই তিথিতে দেবীর কাছে প্রার্থনা করলে, দেবী তা পূরণ করেন।
দেবী পৌষকালীর রূপ
দেবী পৌষকালীর ডানদিকের ওপরের হাত থাকে শঙ্খ, ডানদিকের নীচের হাতে থাকে খড়গ। বাম দিকের ওপরের হাত থাকে বরদ মুদ্রা এবং বামদিকের নীচের হাতে থাকে নরমুণ্ড।
কখন শুরু অমাবস্যা, কতক্ষণই বা থাকছে?
এবার পৌষ অমাবস্যা পড়েছে ১০ জানুয়ারি, বুধবার। রাত ৮টা ১০-এ অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে। থাকবে পরদিন, ১১ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৫টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত।
দেবী কালীর রূপ
পুরাণ ও তন্ত্র সাহিত্যে কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়। যেমন- দক্ষিণাকালী (শ্যামা), মহাকালী, শ্মশানকালী, গুহ্যকালী, ভদ্রকালী, সিদ্ধকালী, আদ্যাকালী, চামুণ্ডাকালী। পাশাপাশি বিভিন্ন মন্দিরে দেবীকে 'ব্রহ্মময়ী', 'ভবতারিণী', 'আনন্দময়ী', 'করুণাময়ী'- ইত্যাদি নামেও পুজো করা হয়। এমনিতে দেবীর বিভিন্ন রূপের মধ্যে দক্ষিণাকালীই সর্বাধিক পূজিত। দেবী দক্ষিণাকালী চতুর্ভুজা। তাঁর চার হাতে থাকে- খড়গ, অসুরের ছিন্নমুণ্ড, বরাভয় মুদ্রা এবং অভয়মুদ্রা। দেবীর গলায় রয়েছে নরমুণ্ডের মালা। দেবীর গায়ের রং কালো। মাথার চুল আলুলায়িত। দেবী শিবের বুকে ডান পা রেখে দণ্ডায়মান।
আরও পড়ুন- বামাক্ষ্যাপার শিষ্য, অলৌকিক শক্তির অধিকারী তারাক্ষ্যাপার মন্দির আজও মনস্কামনা পূরণের তীর্থক্ষেত্র
দেবী কালীর উৎপত্তি
দেবীর আর্বিভাব সম্পর্কে পুরাণে বর্ণনা রয়েছে। শাস্ত্র অনুযায়ী, পুরাকালে শুম্ভ এবং নিশুম্ভ নামে দুই দৈত্য পৃথিবীতে ভয়ংকর ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল। দেবতারাও এই দুই দৈত্যের কাছে যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। ফলে, দেবলোক দেবতাদের হাতছাড়া হয়ে যায়। সেই সময় দেবরাজ ইন্দ্র, দেবলোক ফিরে পাওয়ার জন্য আদ্যশক্তি পার্বতীর তপস্যা করেছিলেন। তাতে দেবী সন্তুষ্ট হয়ে আবির্ভূত হন। দেবীর শরীর থেকে অন্য এক দেবীর সৃষ্টি হয়। যে দেবী কৌশিকী কাছে পরিচিত। দেবী কৌশিকী মহামায়ার দেহ থেকে নিঃসৃত হয়ে মহাকালী রূপ ধারণ করেছিলেন। যা দেবী কালীর আদিরূপ বলেই মনে করা হয়।