মানুষের শরীরে এখন ব্যথা বেদনার অন্ত নেই। পেশীর ফোলাভাব হোক কিংবা হঠাৎ করে টান অথবা মোচড় লাগা - আবার অনেক সময় শোয়ার দোষের কারণেও হতে পারে এই ধরনের ব্যথা। তেমনই গাউট অথবা Gout আর্থ্রাইটিসের এক ধরনের প্রকারভেদ।
Advertisment
এটি সাধারণত দৈহিক প্রদাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে হতে পারে। সেই থেকে ফোলাভাব, ব্যথা এবং অতিরিক্ত লাল ভাব দেখা যায় সেই অংশে।
শরীরের কোন কোন অংশে এই ধরনের ব্যথা বেশি হয়?
সাধারণত পায়ের গোড়ালিতে এই ব্যথা বেশি হয়। তবে অনেকসময় হাতে, কাঁধে এবং কনুই এবং মাঝে মধ্যে স্পাইনালেও এই ব্যথা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই রোগ থেকে বাঁচার সবথেকে ভাল উপায় হল হোমিপ্যাথি। দীর্ঘদিনের চিকিৎসা থেকে অনেক ভাল ফল পাওয়া যায়।
কী কী লক্ষণ দেখা যায়?
অবশ্যই ফোলাভাব এবং স্পর্শকাতর যন্ত্রণা। এছাড়াও সেই নির্দিষ্ট জায়গাটি যথেষ্ট গরম হয়ে থাকে। এবং হাড়ের চারপাশে এক ধরনের আড়ষ্ঠ ভাব ছাড়াও, শরীরে প্রদাহ জনিত সমস্যা দেখা যায়।
কী কী কারণে এই ব্যথা হতে পারে?
স্থূলতা অথবা ওবেসিটি ছাড়াও, এই ধরনের ব্যথার অন্যতম কারণ হল ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস থেকে ফোলাভাব এবং গাঁটের ব্যথা খুব স্বাভাবিক। অত্যধিক ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে এই ধরনের ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও বিশেষ কিছু ধরনের খাবার যেমন পিউরিন যুক্ত, ক্যালসিয়াম এবং কোলেস্টেরল থেকেও হতে পারে।
বেশ কিছু খাবার একেবারেই খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত, তার মধ্যে - ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার, কিংবা বাসী খাবার। এছাড়াও কোল্ড ড্রিঙ্কস, অ্যালকোহলিক বিভারেজেশ এবং তার সঙ্গেই, অতিরিক্ত সোডা, চিপস তথা প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।
প্রতিরোধের উপায় :-
বেশি দুধ এবং এর থেকে তৈরি জিনিস খাওয়া বন্ধ করুন।
অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। এছাড়াও লেবুর রস খাওয়া ভাল।
বেরি, সেটি আঙ্গুর হলেও হবে। এছাড়া গম জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।
আদা এবং মধু এই ক্ষেত্রে খুব ভাল প্রমাণিত হতে পারে কারণ দুটিই প্রদাহ কমাতে কাজে আসে।