Guru Purnima 2018: গুরু পূর্ণিমা অর্থাৎ গুরুকে পূজো করার দিন হিসাবেই মূলত পালন হয় দিনটি। ভারত, নেপাল সহ একাধিক বৌদ্ধ অধ্যুষিত জায়গায় সাড়ম্বরে উদযাপিত হয় গুরু পূর্ণিমা। মূলত হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের ঐতিহ্য মতে পালিত উৎসব হলেও বর্তমানে অনেক ধর্মেই গুরুকে পূজা করে পালিত হয় গুরু পূর্ণিমা। কথিত আছে, এই দিনেই তাঁর প্রথম ধর্মোপদেশটি দিয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধ। প্রতি বছর এদিনে আকাশের পূর্ণচন্দ্রকে সাক্ষী রেখে পালন করা হয় দিনটি। ভারতে ২৬ জুলাই গুরু পূর্ণিমা
আরও পড়ুন: Kargil Vijay Diwas: কেন পালন করা হয় কার্গিল বিজয় দিবস?
Happy Guru Purnima 2018 Date and Time in India
গুরুপূর্ণিমাকে ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়। অনেকেই মনে করেন এই আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ব্যাসদেব জন্মগ্রহণ করেন মুনি পরাশর ও মাতা সত্যবতীর ঘরে। মহর্ষি ব্যাসদেবের জন্মতিথি বলে এই পূর্ণমাকে ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়। তাই আদিগুরু হিসেবে তাঁর জন্মতিথিকে কেন্দ্র করে এই গুরুপূর্ণিমা সমাজে প্রসার লাভ করে।
অপর এক মতে বলা হয়, ভগবান শিব এই তিথিতেই সপ্তর্ষিকে জ্ঞান প্রদান করেন। এবং সেই ঘটনাই কালক্রমে গুরু প্রথার সৃষ্টি করে। এই দিনটি বৌদ্ধদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই পূর্ণিমাতেই ভগবান বুদ্ধ সর্বপ্রথম তাঁর শিষ্য অত্রী, বশিষ্ঠ, পুলহ, অঙ্গীরা, পুলোস্ত, মরীচি এবং ক্রতুকে উপদেশ দিয়েছিলেন। এই ঘটনাকে স্মরণ করে গুরু পূর্ণিমা পালিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন। এই দিনে মানুষ তাঁদের আধ্যাত্মিক গুরুর পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আচার্য বা শিক্ষা গুরুদের উদ্দেশ্যে পূজা ও শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন। গুরুকে স্মরণ করেই শুরু হয় তাঁদের কর্মজীবনের পথচলা। প্রসঙ্গত, নেপালে, এটি শিক্ষক দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয়।