Happy Dashami Greetings, Images: পুজো শেষ। আকাশ বাতাসে বিদায়ের সুর। চারপাশে বিসর্জনের আবহ। মা দুর্গার এবার ফিরছেন কৈলাসে। বাঙালির সংস্কৃতিতে মা দুর্গা ঘরেরই মেয়ে। আর ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরলে যেমন আনন্দ, ফেরার সময় তেমনই সবার চোখ ছলছল। বিজয়া দশমী সেই ভেজা চোখে বিদায়ের দিন। হিন্দু পুরাণ মতে নবমীর দিন দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। নবমীকেই পুজোর শেষ দিন হিসেবে ধরা হয়। দশমীতে বরণের পরেই প্রতিমা বিসর্জন। বিসর্জন শুনলেই কেমন মন খারাপ ঘিরে ধরে আমাদের। একটা ফাঁকা ফাঁকা ভাব, একটা বুক হু-হু করা কষ্ট।
তবে অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে যুদ্ধে জয়লাভের আনন্দও কম না। তাই এই বিজায়ায় পরস্পরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং আলিঙ্গন, বাঙালি পরম্পরার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এবারের বিজয়ায় প্রিয়জনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারেন এই বার্তাগুলির মাধ্যমে-
আরও পড়ুন, সুরুলের রাজবাড়িতে বলি দেওয়ার সময় আজও নারায়ণকে রেখে আসা হয় মন্দিরে
*বিজয়া দশমীর আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা।
গুরুজনদের প্রণাম, আর ছোটদের অনেক আদর।
*বিসর্জনের পর অপেক্ষার প্রতিটি মুহূর্ত হোক শান্তির।
অন্ধকার থেকে আলোর পথে এগিয়ে চলা জারি থাকুক।
*আঁধার কাটুক সবার ঘরে
আগামী একটা বছর ভালো কাটুক সব্বার
বিজয়ার আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আরও পড়ুন, Durga Puja 2019 Live Updates: দশমীর সকাল থেকেই বিসর্জনের সুর
*চোখ ছলছল, ফাঁকা চারপাশ
হু-হু করা বুক, মাঠ জোরা কাশ
শিউলির বন, হিমের ছোঁয়া
দুগগা ফিরুক, এই তো চাওয়া।
*এবার মায়ের ফেরার পালা
চোখ ভেজানো বিদায় বেলা
আবার এসো ঘরে ঘরে
অন্ধকারটা আলো করে।
আরও পড়ুন, খিদিরপুরের মুন্সীগঞ্জ, এক চাঁদাতেই পুজো-মহরম
বিদায়ের এই করুণ সুরের সঙ্গে সঙ্গত দেয় বাংলার মাঠ ঘাট চরাচর। আশ্বিনের শেষে ছোট হতে থাকা বিকেল বলে দেয় আমাদের প্রত্যেকের মনের গভীরে পুষে রাখা যে ঘর, সেখানে ফেরার জন্য ব্যাকুল আমরা। হেমন্তের ঝুপ করে সন্ধে নামা যেন গৌরীর ফিরতে না চাওয়ার গল্প বলে যায়।
এদিন থেকেই ফের শুরু হল এক দীর্ঘ প্রতীক্ষা। একটা গোটা বছর পেরিয়ে চারটে দিনের জন্য জড়ো করে রাখা সব আনন্দ আয়োজন। ক্ষণিকের ভালো থাকা, এবং ভুলে থাকা। তবু ওটুকুর জন্যই বেঁচে নেওয়া যায় একটা গোটা জীবন।
বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা রইল। ভাল থাকুন সব্বাই...