সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা শিরোনামে এসেছেন ডিম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে। শিশুরা নিয়মিত ডিম খেলে ভবিষ্যতের নরখাদক হয়ে উঠতে পারে, এই আশঙ্কায় বিজেপি নেতা গোপাল ভার্গব নিদান দিয়েছিলেন মিড ডে মিলে বাদ ঠাকুক ডিম। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে আজ আলোচনা করা হল ডিমের পৌষ্টিক গুণাবলি নিয়ে। কথা বললেন ক্যালকাটা হোপ ইনফার্টিলিটি ক্লিনিক এবং এনজি মেডিকেয়ারের কনসাল্টান্ট নিউট্রিশনিস্ট প্রিয়াঙ্গি লাহিড়ীর সঙ্গে।
ডিমের পৌষ্টিক গুণাগুণ নিয়ে কী বললেন প্রিয়াঙ্গি লাহিড়ী?
১) খুবই পুষ্টিকর খাদ্য, স্বাদেও দারুণ।
২) সহজপাচ্য খাবার, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট
৩) ডিমে যে একেবারে ক্যালোরি থাকে না, এমনটা নয়। তবে তা শরীরের পক্ষে ভালো ক্যালোরি
আরও পড়ুন, মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে কী কী খাবেন?
৪) ডিম প্রোটিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস হিসেবে কাজ করে। পেশীর গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে ডিম
৫) ভিটামিন ডি, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, রেটিনল, টোকোফেরল সমৃদ্ধ থাকে ডিম
৬) মোনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ। স্বভাবতই হার্টের পক্ষে ভালো।
৭) ডিমের কুসুমে উপস্থিত ক্যারোটিনয়েড চোখের জন্য খুব উপকারী।
৮) ডিমে থাকা লেসিথিন এবং কোলিন মস্তিষ্কের গঠনে সাহায্য করে। লেসিথিন পিত্ত নিঃসরণে সাহায্য করে এবং গলব্লাডারে স্টোন হওয়ার ঝুঁকি কমায়
আরও পড়ুন, ঘুম বঞ্চিত দেশের তালিকায় দু’নম্বরে ভারত
নিউট্রিশনিস্ট প্রিয়াঙ্গি লাহিড়ী জানালেন ডিমে কোলেস্টোরল থাকে, তবে রক্তে কোলেস্টোরলের মাত্রা বাড়াতে এর কোনও ভূমিকা থাকে না, তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই। যে কোনো বয়সের সুস্থ এবং অসুস্থ দু'ধরনের মানুষের ক্ষেত্রেই রোজকার ডায়েটে ডিম দেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, বাচ্চা, বয়স্ক, বাতের ব্যথা (গাউট) রয়েছে, ইউরিক অ্যাসিড বেশি রয়েছে, এমন সমস্ত মানুষের ক্ষেত্রে ডিম খাওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে চিকিৎসা শাস্ত্রের কোনও স্বীকৃত নির্দেশাবলীতেই ডিম খেতে নিষেধ নেই। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অংশ হিসেবে দিনে একটা করে ডিম খেতে পারেন সবাই।