Health Tips: ঘুমের অভাবে শরীরে ফুটে উঠতে পারে এই লক্ষণগুলি! উপেক্ষায় চরম বিপদ
প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম সুস্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। ঘুম না হলে আমাদের অনেক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যখন আমাদের ঘুম পর্যাপ্ত হয় না, তখন আমাদের শরীর আমাদের কিছু সংকেত দেয় (ঘুমের অভাবের লক্ষণ) যেগুলি উপেক্ষা করা মানে বিপদকে ডেকে আনা। এই সংকেতগুলিকে অবহেলা না করে আমাদের শরীরকে আরও বেশি বিশ্রাম দিতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘুমের অভাবে শরীরে কী কী লক্ষণগুলো দেখা যায়।
ঘুম কম হওয়ার লক্ষণ: পরিবর্তিত জীবনধারায় আমরা ঘুমের দিকে সেভাবে মনোযোগ দিই না। অনেকেই আছেন যারা প্রতিদিন ৭ ঘণ্টার কম ঘুমান। এটি কেবল আমাদের শারীরিক নয়, আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। ঘুম আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আমাদের শরীরে অনেক উপসর্গ দেখা যায়, যেগুলিকে আমরা সাধারণ ভাবে উপেক্ষা করি। দেখে নেওয়া যাক- ঘুমের অভাবে শরীরে কী কী লক্ষণ দেখা যায়।
বিশ্বজুড়ে দাপট নিউমোনিয়ার! সতর্ক থাকুন, এই কাজ ভুলেও করবেন না
ক্লান্তি এবং অলসতা - ঘুমের অভাবের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল ক্লান্তি এবং অলস বোধ করা। কাজে মনোসংযোগ করতে না পারা। সারাক্ষণ ক্লান্তি বোধ এর সবগুলিই ঘুম না হওয়ার লক্ষণ।
মেজাজের পরিবর্তন- পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মেজাজের বদল হতে পারে। ঘুম না হলে আপনার মেজাজ খিটখিটে হবে। আপনি অস্থির বোধ করবেন।
স্মৃতিশক্তি এবং ফোকাস দুর্বল - ঘুমের অভাব স্মৃতিশক্তি এবং ফোকাসকে দুর্বল করে দেয়। সাধারণ বিষয় মনে রাখাও কঠিন হতে পারে আপনার পক্ষে। পাশাপাশি কোন কাজে মনোনিবেশ না করতে পারার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি- ঘুমের অভাবে ওজন বাড়তে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আমাদের শরীরে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা ওজন বাড়ার কারণ
হার্টের সমস্যা- ঘুমের অভাব হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এতে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
দুর্বল ইমিউন সিস্টেম - ঘুমের অভাব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়।
চোখের নিচে কালো দাগ- ঘুমের অভাবে চোখের নিচে কালো দাগ ও ফোলাভাব হতে পারে।
মাথাব্যথা- ঘুমের অভাবেও মাথাব্যথার সমস্যা হতে পারে।
হজমের সমস্যা- ঘুমের অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া এবং অ্যাসিডিটি, হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শান্তির ঘুম কীভাবে ঘুমাবেন?
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমান এবং ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। ঘুমানোর আগে একটি শান্ত পরিবেশ তৈরি করুন।
শোবার ঘর অন্ধকার, শান্ত এবং ঠাণ্ডা রাখুন। ঘুমানোর আগে কফি এবং অ্যালকোহল পান এড়িয়ে চলুন -
ঘুমানোর আগে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করবেন না।
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
আপনি যদি মনে করেন আপনার ঘুমের সমস্যা হচ্ছে এবং চেষ্টা করেও ঘুমের ঘাটতি মেটাতে পারছেন না। তাহলে আপনার অবিলম্বে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।