অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চার অভাব, গ্যাজেট নির্ভর জীবন, ঘুমহীনতা , এসব আধুনিক জীবনের অনুদান। আর এসব অভ্যাস আমাদের জীবনে নেমে আসে গাঢ় অন্ধকার। তেমনই এক লাইফ স্টাইল ডিজিজ হল মাইগ্রেন। অধিকাংশ সময়ে আমাদের অবহেলাতেই বাড়তে থাকে মাইগ্রেনের সমস্যা।
মাইগ্রেনের ব্যথায় জীবন অতিষ্ঠ হয়ার জোগাড় এমন ভুক্তভোগী ছড়িয়ে রয়েছেন আমাদের আশেপাশেই। দিনভর মাইগ্রেনের ব্যথায় মাথা ঘুরছে, গা বমি বমি ভাব হয়াও অস্বাভাবিক নয়।
শর্করা জাতীয় নরম পানীয়তেই ক্যানসারের বীজ? কী বলছে সমীক্ষা?
কলোম্বিয়া এশিয়া হাসপাতালের কনসাল্ট্যান্ট নিউরোলজিস্ট ডঃ অনিল আর জানালেন, "মাইগ্রেনের ব্যথা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত গড়াতে পারে"।
কী কী কারণে হতে পারে মাইগ্রেন?
মেয়েদের শরীরে হরমোন সংক্রান্ত পরিবর্তন ঘটলে
হরমোনের ওষুধ খেলে
খুব উজ্জ্বল আলো বা সূর্যের আলোতে এলে
ঘুমের সময়ের বদল হলে
শারীরিক ক্লান্তি ঘটলে
আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তন হলে
খুব বেশি নুন জাতীয় খাবার খেলে, বা চিজ খেলে
অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় অথবা কফি বেশি পান করলে
কাজের চাপ থেকে হতে পারে
খুব তীব্র গন্ধ থেকে হতে পারে
ধুমপান নয়, ক্যানসারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বাড়ে ওবেসিটিতে
মাইগ্রেন এড়ানোর সহজ রাস্তা
স্ট্রেস লেভেল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখুন। কাজের চাপ, ডেড লাইন, সহকর্মীদের চাপ, অত্যাধিক প্রত্যাশা থেকে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে। নিজেকে এসবের ঊর্ধে রাখুন। সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কাজের মাঝে বিরতি নিন। একটানা কাজ করবেন না। মাঝে মাঝে বিরতি নিয়ে একটু বিশ্রাম করুন।
আলো নিভিয়ে, পরিবেশ শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। তীব্র গন্ধের এড়িয়ে চলুন
চোখের ওপর চাপ পড়তে দেবেন না। মোবাইল ফোন, কম্পিউটার থেকে ডুরে থাকুন জথা সম্ভব। কম্পিউটারের ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন।
প্রয়োজনিয় ওষুধ সঙ্গে রাখুন সবসময়। আপনি নিজেই সবচেয়ে ভালো জানেন, আপনার কী অসুবিধে হয় মাইগ্রেন হলে। ব্যথার ওষুধ, বমির ওষুধ সঙ্গে রাখুন।
পর্যাপ্ত জল এবং স্বাস্থ্যকর খাবার সঙ্গে রাখুন। দিনভর প্রোটিন এবং সুগার লেভেল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন।