আজকাল অনেকেই পিরিয়ডের সময় একাধিক আনুষঙ্গিক সমস্যায় ভোগেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেটা হয়ে থাকে, তা হল তলপেটের ব্যথা। অনেকেই সাংঘাতিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই পেইন কিলার খেয়ে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করেন। চিকিৎসকেরা ব্যথা নিরাময়ে ওষুধ না খেয়ে লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের ওপর জোর দিতে বলেন। কিছু খাবার রয়েছে, যে গুলি নিয়মিত খেলে পিরিয়ডের ব্যথা কম হয়।
সেরকম কিছু খাবার এবং পদ্ধতির সন্ধান দেওয়া হল।
ল্যাভেন্ডার অয়েল- পিরিয়ডের ব্যথার সময় পেটে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মালিশ করুন। ১০- ১৫ মিনিটের মধ্যে এটি আপনার ব্যথা কমিয়ে দেবে অনেকখানি।
গরম জলের সেঁক- পেটে ব্যথার সময় গরম জলেরসেঁক দিতে পারেন। হট ওয়াটার ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ব্যথা অনেকটা কমিয়ে দেবে। গরম জলে স্নানও করতে পারেন।
আরও পড়ুন, হাঁটুর সমস্যা? ঘরোয়া পদ্ধতিতে আরাম পাবেন কোন উপায়ে?
আদা- আদা বেশ উপাকারী পিরিয়ডের ব্যথা রোধের জন্য। আদা চা পান করলে এই সময় বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া কয়েক টুকরো আদা গরম জলে সেদ্ধ করে মধু-চিনি সহযোগে দিনে তিন-চারবার পান করতে পারেন।
পেঁপে- পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য পেঁপে খাওয়া বেশ কার্যকর। পিরিয়ডের সময় নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। কাঁচা পেঁপে পিরিয়ডের ব্যথা কমিয়ে দেয়।
অ্যালোভেরা রস- অ্যালোভেরা রসের সাথে মধু মিশিয়ে একটি জুস তৈরি করে ফেলুন। পিরিয়ডের ব্যথার সময় এটি পান করুন। দিনে কয়েকবার এটি পান করুন। ব্যথা অনেকখানি কমিয়ে দেবে এই পানীয়।
আরও পড়ুন, দিনে ৯ ঘণ্টা বসে কাজ, অসময়ে ম্ত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন না তো?
কফি এড়িয়ে চলুন- এ সময়টায় ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন। কফিতে মূলত ক্যাফেইন থাকে যা রক্তনালীকে উত্তেজিত করে তোলে। এবং এটি পেটে অস্বস্তিকর অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়।
প্রচুর জল এবং পানীয় খান- দেহের যাতে শুকিয়ে না যায়, তার জন্য প্রচুর পরিমাণ জল পান করুন।
এছাড়া এই সময় ভিটামিন এবং মিনারেল-জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মিনারেল এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখার চেষ্টা করুন।