Advertisment

International day for girl child: কী ভাবে বড় করবেন আপনার কন্যা সন্তানকে?

বৈষম্যের দিকগুলো সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। পুরুষতন্ত্রের শিকড় অনেক গভীরে চলে গিয়েছে, তা থেকে সচেতন ভাবে বেরোতে হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মুখে যতই লিঙ্গসাম্যের কথা বলি না কেন, সমাজ টা এখনও পিতৃতান্ত্রিক। আর এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে কন্যা সন্তানকে বড় করার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছুটা বাড়তি সচেতন থাকতেই হবে। নিজের অজান্তেই আপনার সন্তানকে বড় করার মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্য এনে ফেলছেন না তো আপনি? কী ভাবে বড় করবেন আপনার কন্যা সন্তানকে?

Advertisment

দেশ স্বাধীন হল, বিজ্ঞানের অগ্রগতি হল, চাঁদের মাটিতেও পৌঁছে যাচ্ছে ভারত, কিন্তু পুরুষতন্ত্রের ছবিটা বদলাল না আজও। তথাকথিত শিক্ষিত পরিবারেও সন্তানরা প্রায়শই লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হন। বিশেষ করে যে বাড়িতে বিপরীত লিঙ্গের একের বেশি সন্তান থাকে।

আরও পড়ুন, ‘সাত চড়ে মুখে রা নেই’! মুখ খুলতে আজও ভয় দেশের মেয়েদের, বলছে সমীক্ষা

ভাইবোনে এই ঝগড়া তো এই গলায় গলায় ভাব, এ সব অস্বাভাবিক নয়। সমস্যা অন্যখানে। বিশিষ্ট মনঃসমাজকর্মী মোহিত রণদীপ এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানালেন, “আমাদের সমাজে পুত্র এবং কন্যাকে বড় করার সময় বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। বন্ধু বাছাই, খেলা, বাইরে বেরনোর ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের সমান স্বাধীনতা পায় না। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারে বৈষম্যটা চোখে পড়ার মতো হয়। খাওয়ার সময় মাছের ভালো পিসটা এখনও রেখে দেওয়া হয় বাড়ির ছেলেদের জন্য। অসুখ বিসুখে ছেলেদের চিকিৎসায় বেশি খরচ করা হয়। আর একটা বিষয় সমাজের সব স্তরেই পরিলক্ষিত হয়। পুরুষতন্ত্রকে বয়ে নিয়ে চলে কিন্তু পরিবারের মায়েরাই। তাঁরা পুত্র সন্তানদের বেশি যত্ন করেন অনেক ক্ষেত্রেই। মেয়েদের বেলায় কেমন যেন ‘আর তো ক’দিন পরেই বিয়ে হয়ে যাবে’ গোছের ভাবনা থাকে মায়েদের”।

এই বৈষম্য থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কী কী করা দরকার? উপায় বাতলালেন মোহিত বাবু- “বৈষম্যের দিকগুলো সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। পুরুষতন্ত্রের শিকড় অনেক গভীরে চলে গিয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা খুব সহজ নয়। তাই সচেতন ভাবে বেরোতে হবে। মেয়েদের বিয়ের ওপর জোর না দিয়ে তাঁদের আর্থিক ভাবে স্বাধীন করার দিকে জোর দিতে হবে। ঘরে এবং বাইরে দু-দিকেই স্বাবলম্বী হতে হয়ে আজকালকার ছেলে এবং মেয়েদের। বাড়িতে তাই ভাই বোন দুজনকেই সব কাজের অভ্যাস করানো উচিত। কোনও কাজ লিঙ্গ ভিত্তিক হয় না। আর ছেলে মেয়ের সঙ্গে বন্ধু হতে হবে মা-বাবাদের। যাতে কখনও বাবা মায়ের আচরণে মনের ব্যবধান তৈরি হলেও সমস্যার কথা খুলে বলতে পারে ছেলে মেয়ে উভয়ই”।

Advertisment