How to Identify real and fake eggs: গত কয়েকদিন ধরেই বাজারে নকল পনির বিক্রির খবর পাওয়া যাচ্ছে। পনির প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। নিরামিষাশীরা প্রোটিনের জন্য পনির খেয়ে থাকেন। পনির দুগ্ধজাত হলেও এটি মাছ-মাংসের মতোই প্রোটিনের ভাল উৎস। মাছ-মাংস বাদে প্রোটিনের আরও একটি ভাল উৎস হল ডিম। ডিম খেতে সবাই পছন্দ করেন। কিন্তু ডিমপ্রেমীদের জন্যও এবার দুশ্চিন্তার খবর সামনে এসেছে।
পনিরের মতো বাজারে নকল ডিমও বিক্রি হচ্ছে। বেশ কিছু দোকানদার বেশি মুনাফার জন্য নকল ডিম বিক্রি করছেন। সিন্থেটিক রাসায়নিক এবং সামগ্রী দিয়ে এই নকল ডিম বানানো হয়। তবে চিন্তার বিষয় হল এই নকল ডিম একদম আসল ডিমের মতোই দেখতে। যেহেতু হানিকারক সামগ্রী দিয়ে তৈরি তাই নকল ডিম খেলে স্বাস্থ্যে অনেক প্রভাব পড়তে পারে। শরীরের অনেক ক্ষতিও হতে পারে।
কীভাবে তৈরি করা হয় নকল ডিম?
খবর অনুযায়ী, নকল ডিমকে জিলেটিন, সোডিয়াম এলগিনেট আর হলুদ ফুড কালার দিয়ে তৈরি করা হয়। ডিমের সাদা অংশ এবং খোসা তৈরি করতে প্যারাফিন মোম, জিপ্সম পাউডার এবং ক্যালসিয়াম সালফাইড ব্যবহার করা হয়। এই অবস্থায় এই প্রতিবেদনে এমন কিছু সহজ টিপস রয়েছে যা প্রয়োগ করে আসল এবং নকল ডিম বুঝতে পারবেন। কোনটা আসল আর কোনটা নকল ডিম চিনতে পারলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি এড়াতে পারবেন।
কীভাবে নকল ডিম চিনবেন?
খোসার উপর নজর দিন
ডিম চিনতে গেলে সবার প্রথমে এর খোসায় নজর দিন। আসল ডিমের খোসা উপর থেকে হালকা রুক্ষ এবং প্রাকৃতিক ভাবে অনিয়মিত হয়। যেখানে নকল ডিমের খোসা চকচকে, উজ্জ্বল এবং প্লাস্টিকের মতো দেখতে হয়।
জলে দিয়ে পরীক্ষা করুন
জলে দিয়ে আসল আর নকল ডিম চিনতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে ডিম জলের মধ্যে ডুবিয়ে দিন। আসল ডিম ধীরে ধীরে ডুবে যাবে। কিন্তু নকল ডিম জলে ভাসবে। কারণ এতে কেমিক্যাল এবং প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ রয়েছে। যা অনেক হালকা।
ডিম নাড়িয়ে দেখুন
ডিমকে কানের পাশে ধরুন আর ধীরে ধীরে ঝাঁকান। যদি আসল ডিম পুরনো হয় তাহলে তার মধ্যে হালকা শব্দ হবে। অন্যদিকে, নকল ডিম ঝাঁকালে বেশি শব্দ হয়।
আরও পড়ুন বাজারে নকল জিনিসের ছড়াছড়ির মধ্যে রয়েছে রসুনও, আসল চিনবেন কীভাবে, জানুন সহজ টিপস
সেদ্ধ করে দেখুন
আসল সেদ্ধ ডিমের আকার একইরকম থাকে। যেখানে নকল ডিম সেদ্ধ করলে রাবারের মতো দেখতে লাগে আর এর মধ্যে কেমিক্যালের গন্ধ বের হয়।
জ্বালিয়ে দেখুন
সব পদ্ধতি ছাড়াও আসল এবং নকল ডিম চিনতে আপনি ডিম জ্বালিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। জ্বালানোর পর নকল ডিমের খোসা প্লাস্টিকের মতো গলে যায়। সেইসঙ্গে অদ্ভূত একটা গন্ধও বেরোয়। যেখানে আসল ডিম তাড়াতাড়ি পোড়ে না আর এর খোসা ছাই হয়ে যায়। কারণ এটি ক্যালসিয়াম দিয়ে তৈরি বলে।
এই ভাবে কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করলে আসল এবং নকল ডিমের মধ্যে পার্থক্য করে চিনতে পারবেন। আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার কাজে লাগবে।