দিনটা ৩৬ ঘণ্টা হলে ভালো হয় তো আপনার? ঘরে-বাইরে নানা দিক সামলাতে সামলাতে নিঃশ্বাস টুকু ফেলার জো নেই? উদয়াস্ত খেটে জীবনটা কেটে যাচ্ছে কোনও রকমে, এর মধ্যে মেদ ঝরানোর জন্য আলাদা সময় কই? অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চার অভাব, গ্যাজেট নির্ভর যাপন আধুনিক জীবনে ডেকে এনেছে নানা লাইফস্টাইল ডিজিজ। স্থূলতা বা ওবেসিটি সেসবের মধ্যে অন্যতম। সময়ের অভাবে যারা নিয়মিত শরীরচর্চার সময় পান না, তাঁদের জন্য রইল মেদ কমানোর আটটা সহজ টিপস।
নিয়মিত ব্রেকফাস্ট খান
অনেকেই ভাবেন দিনে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিলেই শরীরের ক্যালোরি ঝরাতে শুরু হয়। আর এই ভাবনা থেকেই ব্রেকফাস্ট স্কিপ করে একেবারে দুপুরের খাবার খান। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, যারা ভারী জলখাবার খেয়ে দিন শুরু করেন, তাঁরা সারা দিনে সব মিলিয়ে কম খান। আর যারা সকালের খাওয়াটাই বাদ দেন, সারা দিনে ঘনঘন খিদে পায় তাঁদের।
ডিনারের পর খুচখাচ খাবেন না
যারা অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করেন, তাঁদের সাধারণত এই সমস্যা হয়। রাতের খাবার খাওয়ার পর ঘনঘন খিদে পেয়ে যায়। কিন্তু এতে শরীরে প্রচুর ক্যালোরি প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজকার মেনুতে রখুন এই সব খাবার
রোজকার ডায়েটে ফল আর সব্জি যোগ করুন
দুপুর এবং রাতের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাড খান, এতে ক্যালোরি ইনপুট কমে যাবে। এছাড়া খাবার খাওয়ার আগে স্যুপ খেতে পারেন। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলেও ব্যালেন্সড ডায়েট হয়।
ছোট পাত্রে খাবার খান
অধিকাংশ সময় আমাদের শরীরের যতটুকু দরকার, পরিমাণে তার চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলি আমরা। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে ছোট পাত্রে খান। ছোট বাটি, ছোট কাপ ব্যবহার করুন। এতে কাপ বা বাটি উপচে পড়া খাবার নিলেও পরিমাণে তা খুব বেশি হবে না।
এস্কেলেটরের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন
রোজকার কিছু অভ্যাসে চাইলেই ছোট ছোট বদল আনতে পারবেন আপনি। যেমন তিন/চার তলায় অফিস অথবা বাড়ি হলে লিফট অথবা এলিভেটর ব্যবহার না করে সিঁড়ি বেয়ে উঠুন। রোজই কিছু সময় বন্ধু, বান্ধব, দূরে থাকা আত্মীয়-পরিজন অথবা প্রেমিক প্রেমিকার সঙ্গে ফোনে বেশ কিছুটা সময় কাটান? শুয়ে বসে ফোনালাপ না করে হাঁটুন। পার্কে হোক, বাড়ির ছাদে, অথবা নিজের বাড়ির গলিতে হাঁটতে হাঁটতে ফোনে কথা বলুন। শুধু খেয়াল রাখবেন যানবাহন বহুল রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করবেন না।
আরও পড়ুন, ভেঙে চুরমার হোক গুচ্ছের যত ডায়েট-মিথ
নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমোন
ভাবছেন ঘুমোলে ওজন বাড়তে পারে? একদম ভুল জানেন। বিপাকের হার ঠিকঠাক রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম খুব দরকার। এ ছাড়া নিয়মমাফিক একটা সময়ে ঘুমোলে মাঝরাতে খিদেও পাবে না যখন তখন।
সোডার বদলে জল খান
ওজন কমাতে চাইলে পানীয়ের দিকে একটু খেয়াল রাখতেই হবে। সোডা, সফট ড্রিঙ্ক পান করা বন্ধ করে তার বদলে দৈনিক ডায়েটে আনতে হবে প্রচুর পরিমাণে জল (৩ থেকে ৪ লিটার অবশ্যই)। এছাড়া লো ফ্যাট মিল্ক, ১০০ শতাংশ ফ্রুট জুস ইত্যাদি পান করুন।
বোকা বাক্সে আটকে থাকবেন না
খেতে বসে টিভি দেখবেন না, তাহলে নিজের অজান্তেই পরিমাণে অনেক বেশি খেয়ে ফেলবেন আপনি। তাই টিভি সেট বন্ধ করে খেতে বসুন।