আজকাল খুব অল্প বয়সেই মোটামুটি ভালো মাইনের চাকরি পেয়ে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। কিন্তু মুশকিল হয় অন্য জায়গায়। সঠিক সময়ে সঞ্চয় করার প্রবণতা তেমন বাড়েনি। সরকারি চাকরি সীমিত হওয়ায় বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরতদের খরচার ধরনও আলাদা হয়। ফলত মাঝ বয়সে এসে সমস্যা দেখা দেয়। অথচ একটু ভেবে চিন্তে হিসেব করে খরচা করলেই কিন্তু দিব্যি সঞ্চয় করা যায়।
পর্যাপ্ত সঞ্চয় থাকলে হঠাৎ কোনও দরকারে এককালীন থোক টাকা লাগলে তা জোগাড় করাটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় না।
আসুন, দেখে নিই অল্প বয়স থেকেই কোন কোন উপায়ে সঞ্চয় বাড়ানো যায়
প্রিপেইড মোবাইল প্লান ব্যবহার করুন
কথা বলায় রাশ টানতে হলে প্রিপেইড প্ল্যান বাছুন। তাতে মাসের শেষে বড় অংকের বিল আসার হাত থেকে বাঁচবেন। প্ল্যান বাছার সময় বেশিদিনের বৈধতা রয়েছে এমন প্ল্যান বাছুন। তাতে সাশ্রয় বাড়ে।
কেনাকাটার সময় তালিকা তৈরি করে নিন
পণ্য বিক্রেতারা অনেক গবেষণার পর পণ্য বাজারে আনেন। এবং তাদের লক্ষ্য থাকে, বাজারে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্যের বাইরেও একাধিক সামগ্রীর চাহিদা তৈরি করা। সেই ফাঁদে পা দেবেন না। আপনার যতটুকু যা দরকার, তাই-ই কিনুন।
খরচার ধাত দিয়ে ধরে ফেলা যায় মানুষের চরিত্র
যে কোনো রকমের অফার আসলে ফাঁদ, এতে পা দেবেন না
২ টো কিনলে ৫ টা ফ্রি, এ জাতীয় কোনও রকম অফার এড়িয়ে চলুন। অফারে পাওয়া পণ্যের গুণগত মান খারাপ হয়। তাছাড়া আপনার যদি দুটি জিনিসের চাহিদা থাকে, অযথা ৫ টা কিনবেন কেন?
ঘুরতে গেলে প্লেন ট্রেনের টিকিট কাটুন অনলাইনে হোটেল বুক করুন অনলাইনে
এ ক্ষেত্রে একই সঙ্গে হোটেল বা বিমান সংস্থার দেওয়া ছাড়, ক্রেডিট কার্ডে বুক করার ছাড়, ডিসকাউন্ট কোড সব রকম ছাড় একসাথে পাওয়া যায়। তাই ঘুরতে গেলে প্লেনের টিকিট, কিমবা হোটেল রুম বুক করা সব অনলাইনেই করুন। মোটা টাকা ছাড় পাবেন। আখেরে আপনারই লাভ।
স্মার্ট ফোনে আটকে জীবন, মাথায় শিং গজাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের
একাধিক খাতে বিনিয়োগ করে রাখুন
শুধু জীবন বিমা, ফিক্সড ডিপোজিট, মিউচুয়াল ফান্ড, বিভিন্ন রকম খাতে বিনিয়োগ করে রাখুন। কিছু বিনিয়োগে যেমন একটু ঝুঁকিও রয়েছে, তেমনি বিপুল পরিমাণ সঞ্চয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুন কেনাকাটি ক্ষেত্রে
ক্রেডিট কার্ড মারফত কেনাকাটা করলে মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা সাশ্রয় হতে পারে আপনার। মুদিখানাতে পেতে পারেন ৫ শতাংশ ছাড়। রেস্তোরাঁতে খেতে গেলে ২০ শতাংশও ছাড় পেতে পারেন।