মিষ্টি একটা উইক এন্ড ছিল দিব্যি! বাধ সাধল পোড়ার মুখো বৃষ্টিটা! শুক্রবারের রিলিজগুলো একের পর এক মিস হয়ে গেল? উফফ!! রাতে ডিনারের প্ল্যান্টাও গেল ভেস্তে। কী করবেন এখন? আহা! এই প্রজন্ম ভুলেই গেছে কীভাবে এক্কেবারে আনপ্ল্যান্নড ছুটির দিন কাটাতে হয়। আসুন, ছোটবেলার কিছু দিন মনে করিয়ে দিই। রাস্তায় হাঁটুজল, আর সূর্য না ওঠা ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টির দিনকে কী ভাবে মনে রাখার মতো করে তুলবেন, তার একটা উপায় বাতলানো যাক। নীচের তালিকা থেকে বেছে নিন আপনার মনপসন্দ জিনিসটি। দেখবেন, এই উইকএন্ড মনে থেকে যাবে অনেক দিন।
বই পড়ুন চুটিয়ে
হঠাৎ না বলে কয়ে বৃষ্টি এসে আপনার একটা মাত্র ছুটির দিন ভেস্তে দিল? কুছ পরোয়া নেহি। জানলা দিয়ে বৃষ্টি দেখতে দেখতে ছেলেবেলায় পড়া ফেলুদা সমগ্রটাই না হয় নিয়ে বসলেন। কিমবা গা ছমছমে ভুতের গপ্প। নিজে পড়ুন, বাড়িতে কচিকাঁচা থাকলে তাকেও পড়ান। আহা! শৈশবে ডুব দিতে ভারী সুখ! পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, শুকতারা, কিশোরভারতী সব কিন্তু বেরিয়ে গেছে। আপনি নিশ্চয়ই ধেড়ে বয়সে এসে এসবের খবরও রাখেন না। বাড়িতে পুরনো পূজাবার্ষিকীও আছে নিশ্চয়ই, ধুলো ঝেড়ে বসে পড়ুন। নিমেষের মধ্যে পৌঁছে যাবেন সোনালী দিনগুলোয়।
আরও পড়ুন, কেমন কাটবে অবসর কাল? সঞ্চয় ছাড়াও নির্ভর করে এই বিষয়ের ওপর
খিচুড়ি-ডিম ভাজা আর মুড়ি মাখা খাওয়ার ছুতো বড় বেশি আসে না, সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন
বিকেল গড়ালে ছাতা মাথায় চলে যান পাড়ার তেলে ভাজার দোকানে। রাতে খিচুরি আর বেগুনী হলে কেমন হয়? সকাল থেকে বার দশেক নানা স্বাদের চা তো আছেই, সঙ্গে একটু পাঁপড়, কখনও আলুর বড়া, পাউরুটির চপ টপও চলতে পারে। এই দুটো দিন ডায়েট ভুলুন মশাই। 'জিন্দেগি লম্বি নেহি, বড়ি হোনি চাহিয়ে'।
সিনেমা-ওয়েব সিরিজ দেখুন, গান শুনুন সবাইকে নিয়ে
ডিজিটাল জমানায় যে মি-টাইম হয়েছে, সেসব আজ তোলা থাক। পরিবারের লোকজনকে নিয়ে বাড়িতে জমিয়ে সিনেমা দেখুন। পছন্দ নিয়ে অবশ্য তুমুল তর্ক বিতর্ক হতে পারে। কেউ রাজেশ খান্না, তো কেউ অমিতাভ, কেউ চাইবেন অড্রে হেপবার্ন, কেউ আবার বলবে স্মিতা পাটিল। তুমুল তর্ক চলুক। ওটাও বৃষ্টি বিলাসের অংশ। অফিস পলিটিক্স আর নেতা মন্ত্রীদের তর্ক দেখে দেখে বাড়ির পাঁচজনের মধ্যে সুস্থ তর্ক বিতর্কের স্বাদ তো ভুলেই গিয়েছেন। আজ সেটা উপভোগ করুন। স্বর্ণ যুগের গান শুনুন, বাড়ির কচিকাঁচাদেরও শোনান। গানের লড়াই খেলতে পারেন একসঙ্গে। গীতবিতান উল্টোতে উল্টোতেও গানে গল্পে জমে উঠতে পারে দুপুর।
আরও পড়ুন, আপনার কি সারাক্ষণ কিনতে ইচ্ছে করে? কীভাবে সামলাবেন নিজেকে?
পড়শিদের সঙ্গে আজ বেহিসেবি গল্প করুন
এই বৃষ্টিতে কেউ কারো বাড়ি যেতে না পারলে এ ছাদ থেকে সে ছাদ আড্ডা হোক জমিয়ে। আর বৃষ্টির আওয়াজ খুব জোরে হলে অবশ্য সে গুঁড়ে বালি। সে ক্ষেত্রে বাড়িতে সদ্য কৈশোরে পড়া ছেলে মেয়ে থাকলে জানলা দিয়ে ওদের মিঠে চোখাচুখি, দৃষ্টি বিনিময় গুলো আজ আপনার দৃষ্টি এরাক। মাঝে একবার কাগজের নৌকো বানিয়ে ভাসাতেও পারেন বাড়ির সামনে জমে থাকা গোড়ালি-জলে। নৌকো বানাতে ভুলে গেলে গুগল সহায়।