/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/04/stair-cover.jpg)
সিঁড়ি ভাঙা অংক যাদের কঠিন লাগত, তাঁদের আবার কষতে হবে সেই অংক। তবে খাতায় কলমে নয়, একেবারে বাস্তবেই সিঁড়ি ভাঙতে হবে নিয়মিত। শরীর ফিট রাখতে অথবা মেদ ঝরাতে নিয়মিত সিঁড়ি ভাঙার বিকল্প নেই, এরকমটাই বলছেন চিকিৎসকেরা।
সুস্থ শরীরের জন্য জিম কিমবা ডায়েট ছাড়াও কিছু শরীরচর্চার প্রয়োজন। হাঁটা, জগিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করা তার মধ্য অন্যতম। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা শরীরের শক্তি বৃদ্ধি , মাংসপেশীর গঠন এবং ভারসাম্য দৃঢ় করতে খুবই কার্যকর একটা কসরত। বেশি ক্যালোরি ঝরানো এবং পেশী সুঠাম করতে সাহায্য করে এই পদ্ধতি।
আরও পড়ুন, জিমে অরুচি! তাহলে মেদ ঝরাবেন কী ভাবে?
মাংসপেশীকে সক্রিয় করে
সমতল ভূমিতে দৌড়নো কিংবা হাঁটার চেয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় শরীরের মাংসপেশীগুলি বেশি সক্রিয় থাকে। সমতলে হাঁটার সময় শুধুমাত্র পায়ের পেশিই সক্রিয় থাকে। তবে সিঁড়িতে চড়ার সময় আপনার গ্লুটস, কোয়াডস এবং হ্যামস্ট্রিং একসঙ্গে কাজ করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা হার্ট সুস্থ রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থাকে।
আরও পড়ুন, হাড় ক্ষয়ে যাচ্ছে? সাবান কিমবা টুথপেস্টে সমস্যা নেই তো?
শারীরিক শক্তি এবং ভারসাম্য বাড়ে
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় পায়ের স্থির পেশী, গোড়ালি এবং পেরোনাল টেনডন শরীরের ভারসাম্য রক্ষার্থে একসঙ্গে কাজ করে থাকে। এই কসরতের ফলে আপনার শরীরিক শক্তি বাড়ে। কসরতের শুরুর দিকে পায়ে টান ধরা বা ব্যথা অনুভূত হলেও পরে নিজেকে তরতাজা লাগবে।
মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ হয়
শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঘটার ফলে হরমোন গ্রন্থি থেকে ‘ভালো’ হরমোনের ক্ষরণ হয়। যার ফলে মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। মন ভাল থাকে।
আরও পড়ুন, স্মার্ট মগজ পেতে হলে এগুলো করতেই হবে
সিঁড়ি ভাঙার নিয়মগুলো জেনে নিন
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামাকে দৈনিক কসরতের তালিকায় ফেলার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন।
মেরুদণ্ড সোজা রেখে সিঁড়ি ভাঙুন
একদম প্রথমেই খুব বেশি সিরি ভানবেন না
যে কোনও চটি বা জুতো না পরে স্পোর্টস শু পরে সিঁড়ি ভাঙা অভ্যাস করুন