বাচ্চাদের সুস্থ শরীর মানেই বাবা-মাদের চিন্তার অবসান। ওদের রোগ প্রতিরোধ, বেড়ে ওঠার ক্ষমতা এই সময় দাঁড়িয়ে ভীষণ মাত্রায় প্রয়োজন। অতিমারীর এই সময় প্রত্যেকের জীবন প্রায় স্তব্ধ। বন্ধ স্কুল-কলেজ, অফিস! তবে বাচ্চাদের জীবনে এর প্রভাব একটু বেশিই। নিজেদের প্রতিদিনের নিয়ম থেকে ওরা এখন অনেকটাই দূরে। সময়ের সঙ্গে চলা, মাঠে খেলা থেকে নানান বডি অ্যাক্টিভিটি, ওদের মন আর মানসিকতায় মরচে পড়েছে গত দুবছরে।
ছোটবেলা মানেই মাঠে ঘাটে খেলে বেড়ানো! মাটির সংস্পর্শে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়। সঙ্গে খেলাধুলার অভ্যাস, হজমের গোলমাল হ্রাস করে। পাচনতন্ত্রের সহায়ক! কিন্তু এখন বাড়িতেই বন্দি ওরা! নড়াচড়া করে না বললেই চলে। সঙ্গে অনলাইন ক্লাস আর কম্পিউটার গেমস এক জায়গায় ঠায়ে বসে থাকা। দোসর অনিয়ম! শিশুদের হজমশক্তির নানান সমস্যা ঘটায়। এখন বেশিরভাগ মায়েদের বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য, শক্ত মল সঙ্গে অম্বলের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। খাবার সহজে হজম না হলে বমি ও অন্ত্রের সমস্যাও কিন্তু হতে পারে। এখনকার দিনের বাচ্চা মানেই ওদের ঘরের খাবারের থেকে বাইরের খাবারই বেশি পছন্দ! কথায় বলে, ওদের মুখে রোচে না তবে পেটেও কি রোচে ?
কোষ্ঠকাঠিন্য কিছু সহজাত কারণেই হতে পারে-
- কম চলাচল / কম খেলা / বেশি অবসর
- জল খাওয়ার পরিমাণ কম
- বেশি জাঙ্ক খাবার খাওয়া
- গভীর রাতে খাওয়া
- দেরিতে ঘুমানো
- অনিয়মিত সময়ে খাওয়া
- ঘুমের ব্যাঘাত
- অন্ত্রের খারাপ অবস্থা
- তাদের ডায়েটে পর্যাপ্ত তরল দ্রব্য না থাকা
- অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কিন্তু পাইলস, ফিশ্চুলা এসব রোগের সৃষ্টি করতে পারে। দিনের পর দিন এই সমস্যা বাড়ে বইকি কমে না। তাই লাগাম আগেই টানতে হবে।
আরও পড়ুন হেঁশেলের এই পাঁচ ভেষজের এত গুণ! আগে জানতেন?
তাই এই সমস্যার সমাধান করতে হলে কিছু নিয়ম আর খাবারের অভ্যাস বদলাতে হবে যেমন-
• প্রতিদিন সকালে ওদের এক গ্লাস গরম জল দিন
• ৪ থেকে ৫টি ভেজানো কিসমিস, সঙ্গে দুটো খেজুর দিতে পারেন।
• রাত্রে ঘুমাবার আগে একগ্লাস গরম গরুর দুধ সঙ্গে একচামচ ঘি দিতে হবে।
• পেটের চারিদিকে হিং লাগিয়ে মালিশ করুন।
• যে কোনও খাদ্যদ্রব্য সেদ্ধ খেতে দিন
• চিনি কম দিন, প্যাকেটজাত খাবার এবং বাইরের খাবার দেবেন না। বাড়ির খাবারই দিন।
• প্রয়োজনমতো খেলাধুলা এবং শরীরচর্চা যেন অবশ্যই করে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন