Diabetes fruit safety: কথায় বলে, ফলের রাজা আম। রসাল স্বাদের এই ফল কে না পছন্দ করেন! তবে ডায়াবেটিস রোগীদের একটি কমন প্রশ্ন থাকে— ডায়াবেটিসে কি আম খাওয়া নিরাপদ? প্রতিদিন খেলে কি রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাবে?
চলুন জেনে নিই এই বিষয়ে চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদদের মতামত।
আমে কী রয়েছে?
আমে থাকে প্রাকৃতিক চিনি (ফ্রুকটোজ), ফাইবার, ভিটামিন C, ভিটামিন A আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যদিও এতে কিছুটা গ্লাইসেমিক থাকে, তবে পরিমাণ বুঝে খেলে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বাধা সৃষ্টি করে না।
আরও পড়ুন- ৪০-এর পরে কিডনি ক্যানসারের এই লক্ষণগুলি আর অবহেলা নয়! হতে পারে মহাবিপদ, জেনে নিন কখন হবেন সতর্ক!
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) কী বলে?
আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স প্রায় ৫০–৬০, অর্থাৎ মাঝারি মানের মধ্যে পড়ে। এর মানে বোঝা যায় যে, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায় না, তবে অতিরিক্ত খেলে অবশ্যই সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন- ঘাম আর গন্ধ থেকে মুক্তি! গরমে ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া রেমেডি
প্রতিদিন কি খাওয়া যাবে?
হ্যাঁ, ডায়াবেটিস রোগীরা সীমিত পরিমাণে প্রতিদিন আম খেতে পারেন। দিনে ১টি ছোট পিস বা আধা কাপ (প্রায় ৮০–১০০ গ্রাম) পরিমাণ আম খাওয়া নিরাপদ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
আরও পড়ুন- এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখতে চান? এই ৫টি বাজেট ফ্রেন্ডলি টিপস জানলে বিদ্যুৎ বাঁচবে
কখন খাওয়া নিরাপদ?
সকালে ব্রেকফাস্টের পর বা দুপুরে খাওয়ার পরই আম খাওয়া উচিত। কখনওই খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। রাতের খাবারে আম না খাওয়াই ভালো
আরও পড়ুন- মুখকে দাগমুক্ত করতে চান, দূর করতে চান বলিরেখা? এই ঘরোয়া সহজ টিপসেই করুন ঝটপট সমাধান!
কী সাবধানতা নেওয়া উচিত?
অতিরিক্ত পাকা ও মিষ্টি আম এড়িয়ে চলাই ভালো। জুস বা ম্যাংগো মিল্কশেক নয়, শুধুমাত্র আসল ফল খান। সঙ্গে অন্যান্য শর্করাজাতীয় খাবার যেন না থাকে
চিকিৎসকের পরামর্শ
যাঁদের HbA1c ৭.৫-এর নীচে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সামান্য আম রাখতে পারেন ডায়েটে। তবে যাঁদের ব্লাড সুগার অনিয়ন্ত্রিত, তাঁদের ক্ষেত্রে আম এড়িয়ে চলাই ঠিক।