জনসংখ্যার নিরিখে পৃথিবীর ১৮ শতাংশই ভারতে। আর ফুসফুসে বিষ মেশানোয় তারও প্রায় দ্বিগুণ জায়গা জুড়ে আছে আমাদের দেশ। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, সারা পৃথিবীতে যত সংখ্যক মানুষ ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত হন, তার ৩২ শতাংশ ভারতীয়। ২০১৬-তে ভারতে ঘটা ১০.৯ শতাংশ মৃত্যুর কারণ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, যেটি দেশে মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ। এ দেশের মানুষের সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ইশ্চেমিক হার্ট ডিজিজ (হৃদজনিত রোগ)-এ।
আরও পড়ুন, সারা বিশ্বে প্রতি চারজন আত্মহত্যাকারী মহিলার একজন ভারতীয়, বলছে সমীক্ষা
ফুসফুসের সংক্রমণের সবচেয়ে বড় কারণ অবশ্যই বায়ুদূষণ। ঘরে ঘরে ছেয়ে যাওয়া সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ) রোগের এক তৃতীয়াংশ হয় বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণা থেকে। ২৫ শতাংশ হয় ঘরের এবং তার আশেপাশের দূষণ থেকে। ২১ শতাংশের জন্য দায়ী ধূমপান। দেশের স্বাস্থ্যনীতি অনুসারে ২০১৭-তেই ঘোষণা করা হয়েছিল, যে সমস্ত কারণে অপরিণত বয়সে মৃত্যু হচ্ছে মানুষের, ২০২৫ সালের মধ্যে তা ২৫ শতাংশ কমাতেই হবে।
দূষণের কারণে ফুসফুসের সমস্যা যেমন বাড়ছে, পাশাপাশি বাড়ছে হৃদরোগ। বিগত ২৬ বছরে হৃদরোগের সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা আমাদের দেশে ১৩ লক্ষ থেকে বেড়ে ২৮ লক্ষে দাঁড়িয়েছে। এই প্রসঙ্গে পুণের চেস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর সন্দীপ সালভি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "ভারতে বাড়তে থাকা দূষণের সমস্যা ঠেকাতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় নীতি গ্রহণ করা দরকার। ফুসফুসের সমস্যায় জীবনের ঝুঁকি কতটা বেড়ে যায়, তা নিয়েও সচেতন হতে হবে ভারতীয়দের। চিকিৎসা ব্যবস্থার বুনিয়াদি স্তরে ফুসফুসের রোগের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা থাকা একান্ত প্রয়োজন।"