এই অন্ধকার সময়ে খুব সহজেই মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে ড্রাগের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা আরও বেশি। মানুষকে ড্রাগের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করে তোলার জন্য প্রতিবছর ২৬ জুন দিনটি মাদক বিরোধী এবং অবৈধ পাচার বিরোধী দিন হিসেবে পালন করা হয়।
এক নজরে জেনে নেওয়া যাক ড্রাগের কিছু ক্ষতিকারক প্রভাব
সর্বনাশা নেশা
মাদকজাত দ্রব্য একবার নেওয়া শুরু হয়ে গেলে এটা অভ্যেসে পরিণত হয়ে ওঠে। নেশার ফলে ক্রমশ শারীরিকি বদল আসতে থাকে। এক সময় পরিস্থিতি এমন হয়ে ওঠে, ড্রাগ না নিলেই তাঁরা স্বাভাবিক কাজকর্ম করে উঠতে পারে না। এইরকম পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটাই প্রাথমিক কর্তব্য।
মানসিক আসক্তি
স্ট্রেসের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য অধিকাংশ মানুষ মাদক দ্রব্যের নেশা ধরে। ক্রমশ ড্রাগের ওপর নির্ভরতা বেড়ে যায়। এরপর খুব ছোটখাটো সমস্যায় পড়েও একমাত্র ভরসার জায়গা হয়ে ওঠে মাদক সেবন।
আরও পড়ুন, অঙ্কে ভালো হলে সহজে ছেড়ে দেওয়া যায় ধূমপানের নেশা, বলছে সমীক্ষা
আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি
ড্রাগ বা মাদকজাত দ্রব্য খুব দামী। আসক্তি এমন একটা ব্যাপার, যখন নেশার জিনিস জোগাড় করার জন্য মানুষ যা কিছু করতে পারে। বন্ধু, পরিবার, ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে সব সম্পর্ক নষ্ট করতেও তোয়াক্কা করে না।
শারীরিক ক্ষয়ক্ষতি
কোনও ড্রাগই নির্দিষ্ট ডোজের বেশি খাওয়া উচিত না। ডাক্তারের প্রেস্ক্রাইব করা ওষুধও নির্দিষ্ট ডোজের বেশি খেলে ফল হয় উলটো। এটা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। যারা নেশা করেন, তাঁরা ঘনঘন অসুস্থ হয়ে পড়েন। খাওয়া, ঘুম, বিশ্রাম কোনওটাই যথেষ্ট পরিমাণে হয় না। শারীরিক ভাবে সক্ষম থাকার জন্য যা যা করা দরকার, তাও তাঁরা করে থাকেনা ।
মারণ দুর্ঘটনা
নেশা করে থাকলে অনেক সময়ই গাড়ি দুর্ঘটনা বা অন্য মারণ দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়া খুব অস্বাভাবিক কোনও ব্যাপার না। একজন স্বাভাবিক মানুষ রাস্তাঘাটে যতটা সচল থাকতে পারে, নেশাগ্রস্ত মানুষ পারে না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন