স্বাধীনতা সংগ্রামের যুগে প্রবল প্রতাপশালী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মহাশক্তির আরাধনা শুরু করেছিলেন বিপ্লবীরা। দেশমাতৃকার সঙ্গে মহাশক্তিকে এক আসনে বসিয়ে স্বাধীনতার লড়াইকে তাঁরা তুলে ধরেছিলেন উচ্চ এক আসনে। সময় এগিয়েছে। দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। কিন্তু, সেই পুজো বন্ধ হয়নি। হাওড়ার বাঙ্গালপুর বয়েজ ক্লাবের কালীপুজো এবার পা দিল শতবর্ষে। পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিয়ে এবার তাদের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে ইকো ফ্রেন্ডলি জিনিসপত্র ব্যবহার করে।
সময়টা ১৯২১। বাংলার বাতাসে তখন বিপ্লবের গন্ধ। স্বাধীনতা সংগ্রামী বিভূতি ঘোষ ও তাঁর সহযোগীরা সেই সময় শুরু করেছিলেন এই পুজো। সময়ের হাত ধরে এই পুজোতেও লেগেছে থিমের ছোঁয়া। এবার এই পুজোর থিম 'মাটির টানে'। গ্রামীণ ও প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে রয়েছে মাটির নিবিড় সম্পর্ক। আর বিশ্বের প্রাচীন শিল্প হল কাদা-মাটির শিল্প। যাকে এককথায় বলে মৃৎশিল্প। যে শিল্পকর্মে যুক্ত শিল্পীরা তাঁদের সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মাটিকে রূপ দেন অবয়বের। সেই পরিবেশমুখী শিল্পকর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই 'মাটির টানে' থিমকে শতবর্ষে বেছে নিয়েছে বাঙ্গালপুর বয়েজ ক্লাব।
এর পাশাপাশি চলবে নানা সামাজিক কাজও। পরিবেশ সচেতনতার কথা মাথায় রেখে পুজোর দিন শিশু দর্শনার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে গাছের চারা। পুজোর পরদিনই দুঃস্থ ব্যক্তিদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেবেন এই ক্লাবের সদস্যরা। থাকছে, দুঃস্থদের চক্ষু পরীক্ষা শিবির, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির ও চশমা বিতরণের আয়োজন। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন বয়সের ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ দিতে থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। যার অঙ্গ হিসেবে থাকবে অঙ্কন, আবৃত্তি ও নৃত্য প্রতিযোগিতা।
আরও পড়ুন- কালীপুজো-দিওয়ালিতে বাড়তি মেট্রো, শেষ ট্রেন ক’টায়? জানুন বিস্তারিত
২৩ অক্টোবর এই পুজোর শতবর্ষ উৎযাপনের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়, বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।