দ্রুত গতিতে ছুটছে জীবন। আর এর মধ্যেই উদয়াস্ত খাটা খাটনি। অফিস-বাড়ি সামলে নিজের শরীরের দিকে নজর দেওয়ার ফুরসৎ কই? অথচ এর মধ্যেই তন্বী থাকতে যখন তখন যে কোনও ডায়েট মেনে রিতিমতো আধ পেট খেয়ে থাকতে শুরু করে একুশ শতকের আধুনিকারা। অল্প সময়ের মধ্যে মেদ ঝরাতে কিটোজেনিক ডায়েট বেশ কাজে দেয়। কিন্তু সপ্তাহ খানেক গেলেই কিন্তু খারাপ দিকগুলো নজরে আসতে থাকে।
কিটো ডায়েটে দেহের প্রয়োজনীয় ক্যালোরির ৯৯ শতাংশই আসে প্রোটিন আর ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে। অল্প সময়ের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমিয়ে আনে এই ডায়েট রেজিম। কম সময়ে শরীরের অনেকটা ফ্যাট বার্ন করতে সক্ষম এই ডায়েট রেজিম। কী ভাবে এই কাজ করে কেটো ডায়েট?
আরও পড়ুন, ঘুমোনোর আগে এক গ্লাস দুধ খেলে কী ফল পাবেন, জানেন?
আসলে এই ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিয়ে ফেলা হয়। ফলে দৈনিক শক্তি সঞ্চয়ের জন্য দেহ ফ্যাট আর প্রোটিন জাতীয় খাবার থেকেই ক্যালোরি বার্ন করে। ফ্যাট বার্ন করে কিটোন বডি তৈরি হয় বলেই এই ডায়েটের নাম কিটোজেনিক ডায়েট, জানিয়েছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
কেটোজেনিক ডায়েটে রাতারাতি রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। কমে যায় ডায়াবেটিসের স্তরও। দেহ ততদিনে লো কার্ব, হাই ফ্যাট খাদ্যাভ্যসেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে দিন সাতেক পর থেকেই উচ্চফ্যাট জাতীয় খাদ্য গ্রহণের ফলে ডায়াবেটিস আখেরে বেড়েই যায়।