সারা বছর মন্দিরের পিছনে রান্নাঘরে তৈরি হয় ভোগ। রান্নাঘরটি ৯টি ভাগে বিভক্ত। যার দুটি ভাগ ২,৫০০ বর্গফুট করে। বাকি ৭টি ভাগ একটু ছোট। রান্নার জন্য প্রতিদিন লাগে ৫০ কুইন্টাল চাল, ২৫ কুইন্টাল ডাল এবং বিভিন্ন সবজি। প্রতিদিন নতুন পাত্রে রান্না করা হয়। একদল সেবক তাই মাটি দিয়ে শুধু পাত্র বানায়।
রান্নাঘরের পাশেই রয়েছে ২টি কুয়ো। একটি কুয়োকে বলা হয় গঙ্গা। অপরটিকে বলা হয় যমুনা। সারা বছর জগন্নাথদেবের ভোগ তৈরি হয় এই কুয়োর জলেই। মোট ৭৫২টি রান্নার উনুন রয়েছে। খোলা কাঠের আগুনে রান্না হয়। ঝুলিয়ে রাখা হয় তেলের বাতি। ১০ হাজার লোকের রান্না হয়। প্রতিদিন রান্না হয় ১০০-র বেশি পদ। দৈনিক রান্নার কাজ করেন ১,০০০ সেবক। তার মধ্যে ৫০০ জন সহকারি সেবক। সেবকরা বংশানুক্রমে কাজ করেন রান্নাঘরে।
আরও পড়ুন- কে এই জগন্নাথ? কী বলছে শাস্ত্র, জেনে নিন
রথের দিন বিশেষ ৫৬টি পদ রান্না করা হয় জগন্নাথদেবের জন্য। সেগুলো হল- ১) উকখুড়া, ২) নাড়িয়া কোড়া, ৩) খুয়া, ৪) দই, ৫) পাচিলা কাঁদালি, ৬) কণিকা, ৭) টাটা খিচুড়ি, ৮) মেন্ধা মুন্ডিয়া, ৯) বড়া কান্তি, ১০) মাথা পুলি, ১১) হানসা কেলি, ১২) ঝিলি, ১৩) এন্ডুরি, ১৪) আদা পচেদি, ১৫) শাক ভাজা, ১৬) মরীচ লাড্ডু, ১৭) করলা ভাজা, ১৮) ছোট্ট পিঠে, ১৯) বারা, ২০) আরিশা, ২১) বুন্দিয়া , ২২) পাখাল, ২৩) খিড়ি, ২৪) কাদামবা, ২৫) পাত মনোহার, ২৬) তাকুয়া মিষ্টি, ২৭) ভাগ পিঠে, ২৮) গোটাই, ২৯) দলমা, ৩০) কাকারা মিষ্টি, ৩১) লুনি খুরমা, ৩২) আমালু, ৩৩) বিড়ি পিঠে, ৩৪) চাড়াই নাডা, ৩৫) খাস্তা পুরি, ৩৬) কাদালি বারা, ৩৭) মাধুরুচী, ৩৮) সানা আরিশা, ৩৯) পদ্ম পিঠে, ৪০) পিঠে, ৪১) কানজি, ৪২) দাহি পাখাল, ৪৩) বড় আরিশা, ৪৪) ত্রিপুরি, ৪৫) সাকারা অর্থাৎ সুগার ক্যান্ডি, ৪৬) সুজি ক্ষীর, ৪৭) মুগা সিজা, ৪৮) মনোহরা, ৪৯) মাগাজা, ৫০) পানা, ৫১) অন্ন, ৫২) ঘি ভাত, ৫৩), ডাল, ৫৪) বিসার, ৫৫) মাহুর, ৫৬) সাগা নাড়িয়া।