Advertisment

আতা ফলের এত গুণ! আগে জানতেন?

এটি শরীরের পক্ষে কতটা ভাল জানেন?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

আতা ভীষণ কার্যকরী

মিষ্টি সঙ্গে সুস্বাদু এবং একদম অন্য স্বাদের কিছু মানেই আতা। আর সেপ্টেম্বর টু অক্টোবর এই সময় যেন এর মিষ্টতা আরও বেড়ে যায়। বেশিরভাগ মানুষই এর জন্য এক্কেবারে পাগল আবার অনেকেই পছন্দ করে না। শুধু স্বাদে নয়, এর বেশ মিষ্টি একটা গন্ধ মোহের মত। চারিদিকে বেশ সুন্দর একটা অনুভুতি রাখে। 

Advertisment

তবে এর কিন্তু অনেক গুণ আছে! এটি শুধু খেতেই ভাল না। এর উপকার জানলে বেশ অবাক হবেন। এমনিতেও যারা খাবারের পরে ফল খেতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এটি বেস্ট। সুইটও হল এবং সঙ্গে পুষ্টিকর তো হলই। এটি কিন্তু মারাত্মক ভাবে রোগ প্রতিষেধক যেমন হৃদরোগ থেকে ওজন হ্রাস সবকিছুতে দারুণ কাজ দেয়। পুষ্টিবিদ মুনমুন গণেরিওয়াল এর গুণাগুণ সম্পর্কে একটি নিদারুণ তথ্য বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একেতেই হিন্দু মহাকাব্যের সঙ্গে এর সংযোগ এখনও অবধি গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে বর্ণিত করেছে তার পরেও এর গুণাগুণ যথেষ্ট প্রভাবশালী। কী রকম! 

একটু বিস্তারিত জানলেই লক্ষ্য করা যায় নানারকম রোগ থেকে এটি রেহাই দেয় তার সঙ্গেও মানসিক শান্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম। 

• এটি ভীষণ মাত্রায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। নানান ধরনের মারণ রোগ যেমন ক্যান্সার, হৃদরোগ থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম। শরীরের অক্সিডেটিভ ক্ষতিকর প্রভাবকে কম করতে পারে। 

• আতা কিন্তু চোখের সমস্যা দুর করতে দারুণ কাজ দেয়। এতে লুতেইন নামক পদার্থ ভরপুর থাকার কারণেই এটি খাওয়ার ফলে চোখের নানান সমস্যা এমনকি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়। যারা চোখে কম দেখেন তাদেরও এর থেকে সুরাহা হয়। 

• মানসিক শান্তি এর থেকে আপনি পেতে পারেন। এটি ভিটামিন বি৬ এর উৎস এবং সেই কারণেই এর থেকে নানা ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার যেমন সেরোটোনিন, ডোপামাইন এগুলি মুড ভীষণ ফ্রেশ রাখে। সেই কারণে দিন বেশ ভাল কাটে। 

•  আতা রক্তচাপের মাত্রা কম করতে পারে। এতে উপস্থিত পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্ত কোষগুলিকে খুলে দিয়ে সঞ্চালন ঠিক রাখে। যার ফলে প্রেসার আয়ত্বের মধ্যে থাকে। 

আরও পড়ুন < তিরিশ পেরলেই এই সাপ্লিমেন্ট না নিলে কিন্তু বেজায় মুশকিল! >

• এর থেকে আর্থ্রাইজিস এবং পেশীর ব্যথা অনেক কমে। শরীর দুর্বলতা, মাসলের আরষ্ঠ ভাব থেকে অনেক আরাম পাবেন। 

• আতা খাওয়ার অভ্যাস করলে, শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকে। এবং রক্তের প্রবাহ ক্রমশই ঠিক থাকার কারণে অ্যানিমিয়া, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়। 

চেষ্টা করুন সব সময় না হলেও, মাঝে মধ্যেই এটি খাওয়ার!

 ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

health fruit
Advertisment