/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/21/koishiki-amavasya-2025-08-21-11-31-03.jpg)
Koishiki Amavasya 2025: তন্ত্রসাধকদের কাছে কৌশিকী অমাবস্যার তাৎপর্য আলাদা।
Koishiki Amavasya 2025: হিন্দু ধর্মে অমাবস্যা একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি। প্রতিমাসে কৃষ্ণপক্ষের শেষ দিনে অমাবস্যা পালিত হয়। এই দিনে আকাশে চাঁদ দেখা যায় না এবং ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী এই তিথিতে পূর্বপুরুষদের আত্মা পৃথিবীতে নেমে আসে। তাই অমাবস্যার দিনে পিতৃতর্পণ, শ্রাদ্ধ এবং দান করার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে।
২০২৫ সালের ভাদ্র মাসের অমাবস্যা বা কৌশিকী অমাবস্যা পালিত হবে শুক্রবার, ২২ আগস্ট। অমাবস্যা তিথি শুরু হবে ২২ আগস্ট সকাল প্রায় ১১টা ৫৪ নাগাদ। তিথি শেষ হবে ২৩ আগস্ট দুপুর প্রায় ১২টা ২২-এ। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা এবং গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুযায়ী সময়ে কিছু পার্থক্য থাকলেও মূলত ২২ আগস্ট রাতে কৌশিকী অমাবস্যার প্রধানত পালন করা হবে।
আরও পড়ুন- আপনার বাড়ি, অফিসে গণেশের কোন মূর্তি পুজো শুভ? গণেশ চতুর্থীতে মাথায় রাখুন এই ৫ বিষয়
পঞ্জিকা কী বলছে?
এর মধ্যে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে অমাবস্যা তিথি শুরু হবে ২২ অগাস্ট, শুক্রবার বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে। আর, শেষ হবে ২৩ অগাস্ট শনিবার বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটে। আর, গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে, অমাবস্যা তিথি শুরু হবে ২২ অগাস্ট শুক্রবার বেলা ১১টা ৫৪ মিনিট ১৭ সেকেন্ড থেক। শেষ হবে ২৩ অগাস্ট বেলা ১২টা ২২ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে।
আরও পড়ুন- শুঁড় থেকে কান, গণেশের শরীরের প্রত্যেক অংশের আলাদা রহস্য, জানেন সেটা?
পুরাণ মতে, ভাদ্র মাসের অমাবস্যা তিথিতে দেবী কৌশিকী, শুম্ভ-নিশুম্ভ নামে অসুরদের বধ করেছিলেন। তাই এই অমাবস্যার নাম হয়েছে কৌশিকী অমাবস্যা। কৌশিকী অমাবস্যার আরেকটি বিশেষ দিক হলো কুশ সংগ্রহ। এই তিথিতেই সারা বছরের জন্য কুশ সংগ্রহ করা হয়। বছরের অন্য সময় কুশ তোলার অনুমতি নেই। তাই একে কুশাগ্রহণী অমাবস্যাও বলা হয়। কুশ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও পিতৃতর্পণে অপরিহার্য।
আরও পড়ুন- শনিশ্বরী অমাবস্যায় করুন এই ৫টি প্রতিকার, শনি ও পিতৃ দোষ থেকে মিলবে মুক্তি
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই অমাবস্যার রাতে এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও পাতালের দ্বার খুলে যায়। সেই সময় শুভ ও অশুভ শক্তির সংমিশ্রণে সাধকের সাধনা সিদ্ধি লাভ করতে পারে। তাই অনেক তান্ত্রিক সাধক এই রাতে বিশেষ সাধনা সম্পন্ন করেন। অমাবস্যার দিনে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ ও শ্রাদ্ধ করলে আত্মারা সন্তুষ্ট হন এবং আশীর্বাদ প্রদান করেন বলে বিশ্বাস করা হয়। এই দিনে গঙ্গাস্নান, দান-পুণ্য এবং ব্রাহ্মণ ভোজনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। বিশেষ করে অন্ন, বস্ত্র ও অর্থ দান করলে পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।