/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/ganesh-chaturthi-2025-08-20-11-14-06.jpg)
Lord Ganeshi: ভগবান গণেশ।
Ganesh Chaturthi 2025: গণেশ চতুর্থী প্রতিবছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে পালিত হয়। ২০২৫ সালে এটি হবে ২৭ আগস্ট। এই উৎসব ভারতজুড়ে ধুমধাম করে পালিত হয় এবং দশদিন ধরে গণপতির পূজা চলে। গণপতির আকৃতি অন্য সব দেবতার থেকে আলাদা। তাঁর প্রত্যেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে লুকিয়ে আছে এক গভীর প্রতীকী তাৎপর্য। চলুন দেখি শুঁড় থেকে কান, চোখ থেকে পেট– গণেশের শরীরের প্রতিটি অংশের রহস্য কী!
গণেশের মাথা
গণেশের মাথা বেশ বড়। এটি হল জ্ঞান এবং বুদ্ধির প্রতীক। যা জীবনকে বড় দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা, চিন্তাশীল হওয়া এবং জ্ঞান অর্জনে আগ্রহের চিহ্ন।
আরও পড়ুন- বাথরুমে স্নান করছিলেন যুবক! আচমকা জানালা দিয়ে হানা বাঘের! ভয় ধরানো ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল
গণেশের শুঁড়
এটি খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতার প্রতীক। জীবনে যে কোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়া এবং দৃঢ়তার সঙ্গে চলার প্রতীক গণেশের এই শুঁড়।
আরও পড়ুন- দেখতে স্বাস্থ্যকর, কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই খাবারগুলো থেকে দূরে থাকুন
গণেশের দাঁত
গণেশ একদন্ত। যা জ্ঞান এবং ত্যাগের প্রতীক। মহাভারত লেখার জন্য গণেশ নিজের দাঁত ভেঙেছিলেন। এটি শেখায় মহৎ কাজে ত্যাগ স্বীকার জরুরি।
আরও পড়ুন- মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ! বিশ্ব মশা দিবসে জানুন ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া থেকে সুরক্ষার সহজ উপায়
বড় কান
গণেশের বড় কান শ্রবণশক্তি এবং মনোযোগের প্রতীক। ভালো শ্রোতা হওয়া, পরামর্শ ও জ্ঞান গ্রহণ করার প্রতীক গণেশের কান।
আরও পড়ুন- মাত্র একবার ব্যবহারে চুল এমন কালো হয়ে যাবে, নিজেকে চিনতেই পারবেন না!
গণেশের চোখ
গণেশের চোখ ছোট। যা মনোযোগ এবং একাগ্রতার প্রতীক। জীবনের যে কোনও কাজে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে সফল হওয়ার প্রতীক এই ছোট চোখ।
গণেশের মুখ
গণেশের মুখ ছোট। যা কম কথা বলার প্রতীক। অল্প কথা বলে শক্তি এবং সময়ের সঠিক ব্যবহারের প্রতীক এই মুখ।
পেট
গণেশের বড় পেট সবকিছু হজম করার ক্ষমতার প্রতীক। সুখ-দুঃখ, সাফল্য-ব্যর্থতা সব সমানভাবে গ্রহণ করার প্রতীক এই বড় পেট।
বাহন
গণেশের বাহন ইঁদুর। যা লোভ, অহংকার, স্বার্থপরতার প্রতীক। গণপতি ইঁদুরকে বাহন হিসেবে বেছে নিয়েছেন, যা বোঝায় তিনি নেতিবাচক আবেগকে জয় করেছেন।
এক প্রতিযোগিতায় দেবতাদের বিশ্ব প্রদক্ষিণ করতে বলা হলে গণেশ শিব-পার্বতীকে সাতবার প্রদক্ষিণ করেছিলেন। তাঁর কাছে পিতামাতা-ই সমগ্র বিশ্ব। সেই ভক্তি এবং বুদ্ধিমত্তার জন্যই গণেশ হলেন প্রথম পূজিত দেবতা।
গণপতির প্রতিটি অংশই এভাবে আমাদের জীবনকে গভীর শিক্ষা দেয়। বড় মাথা শেখায় জ্ঞান অর্জন, শুঁড় শেখায় মানিয়ে নেওয়া, কান শেখায় শোনা, মুখ শেখায় কম কথা বলা, আর পেট শেখায় সবকিছু সমানভাবে গ্রহণ করা উচিত। গণেশের রূপ তাই শুধু ধর্মীয় তাৎপর্যের জন্যই নয়। জীবনের পথপ্রদর্শনের জন্যও জরুরি।