Kojagari Purnima, Kojagari Lakshmi Puja do and dont's: বন্দে বিষ্ণু প্রিয়াং দেবী দারিদ্র্য দুঃখনাশিনী।
ক্ষীরোদ সম্ভবাং দেবীং বিষ্ণুবক্ষবিলাসিনীঃ -
অর্থাৎ মহালক্ষ্মী বিষ্ণুপত্নী, তাঁর হৃদয়ে সর্বদা বাস করেন। ধন, যশ, ঐশ্বর্য এবং দারিদ্রের দূরীকরণে মহালক্ষ্মী পূজিত হন মর্ত্যে। নিয়ম অনুযায়ী, নিশিযাপনের পরেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো করা উচিত। এবং কোজাগরী অর্থ, কে জাগরি - দেবীর আরাধনায় রাত এবং ভোরের সন্ধিক্ষণে জেগে থাকাই কাম্য।
দেবী মহালক্ষ্মী স্বভাবে শান্ত এবং রূপে তথা মহিমায় সুদর্শনা। তার পুজোর নিয়ম সংক্রান্ত বেশ কিছু বিধি অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না। তাতে দেবী তুষ্ট হওয়ার পরিবর্তে অসন্তুষ্ট হন। একেতেই লক্ষ্মী চঞ্চলা, তাই তার আরাধনায় বেশ কিছু সত্য এবং নিয়মাবলি মেনে চলাই শ্রেয়!
প্রথম, মহালক্ষ্মী আরাধনায় আসনে লাল এবং গোলাপি ব্যতীত কোনও রঙের কাপড় পাতবেন না। এমনকি আপনার প্রতিষ্ঠিত লক্ষ্মী হলেও, দেবীর অঙ্গেও যেন লাল কিংবা গোলাপী পোশাক থাকে।
দ্বিতীয়, দেবী চঞ্চলা। মহালক্ষ্মী সহজেই ভীত হন, বেশি আওয়াজ পছন্দ নয় তার। তাই পুজোর সময় শুধুই শঙ্খধ্বনি ছাড়া আর কিছুই যেন ব্যবহার না করা হয়। সঙ্গে নারায়ণ থাকলে তবেই ঘণ্টা প্রয়োগ করতে পারেন।
তৃতীয়, সাদা ফুল দেবীকে অর্ঘ্য হিসেবে নিবেদন করা যায় না। লাল, গোলাপি এবং হলুদ তবেই দেবী প্রসন্ন হবেন।
চতুর্থ, ধানের ছড়া লক্ষ্মীর হাতে দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যেন আসনের বাইরে সেটি বেরিয়ে না যায়। এটি খাদ্যাভাব জনিত প্রতীক।
পঞ্চম, চাল। মায়ের পুজোর উদ্দেশ্যে আনীত চাল থেকে অন্য কাউকে দেবেন না। অন্তত সেইদিনের জন্য নয়।
ষষ্ঠ, অনেকের নিয়ম থাকে সরা ভর্তি চাল দিয়ে মায়ের সামনে পুজো দেওয়ার। তবে তাতে একটি কড়ি অবশ্যই দেবেন। এটি সৌভাগ্যের প্রতীক।
সপ্তম, পুজো অর্পণের পর অন্তত ১০ মিনিট সেই ঘর থেকে সকলেই বেড়িয়ে আসুন। দরজা বন্ধ রাখলেই ভাল। কেউ যেন ওই ঘরে না যায় সেটি দেখবেন।
আরও পড়ুন ১৬ না ১৭ অক্টোবর, এবার কবে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো? পঞ্জিকা মতে শুভ মুহূর্ত কখন?
অষ্টম, লক্ষ্মীপুজোর প্রসাদ হাসিমুখেই গ্রহণ করবেন। এতে না বলতে নেই। নাহলে দেবী রুষ্ট হন।
নবম, লক্ষ্মীপুজো তুলসী পাতা দিয়ে কোনওভাবে সম্ভব নয়। তাই দূর্বা এবং ধান রাখবেন। নারায়ণের পুজোর বিষয় থাকলে তুলসী রাখবেন নয়তো নয়। কারণ তুলসীর সঙ্গে বিবাহ হয় শালগ্রাম শীলার। এটি নারায়ণের অংশ সেই কারণেই এর ব্যবহার চলে না।
দশম, বেশিরভাগ ব্রাহ্মণ বাড়িতেই অন্নভোগ সহযোগে দেবীর আরাধনা করা হয়। মনে রাখবেন পুজোর দিন কোনওভাবেই প্রসাদ বাড়ি থেকে যেন বাইরে না বেরোতে পারে। আপনার বাড়িতে এসে প্রসাদ গ্রহণ করলে কোনও অসুবিধে নেই।
সকলের ঘরে, লক্ষ্মীশ্রী বজায় থাকুক! অর্থে যশে জীবন থাকুক পরিপূর্ণ। নিষ্ঠাভরে দেবীর আরাধনায় মেতে উঠুন।