শহর কলকাতায় জনবহুল এবং ব্যস্ত বাজারগুলির মধ্যে অন্যতম হল এর ফুল বাজার। গঙ্গাতীরের মল্লিকঘাটের ঠিক পাশেই গড়ে ওঠা এই অস্থায়ী বাজারটি এশিয়ায় বৃহত্তম ফুলের বাজার হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। শুধু দেশি-বিদেশি ফোটোগ্রাফাররাই নন, অনেক পর্যটক ও বিস্মিত চোখে পরখ করে নিতে যান এর প্রাণ এবং বিশালত্বকে।
হাওড়া ব্রিজের খুব কাছেই গড়ে ওঠা এই ফুল বাজারে ভোর হয় সূর্য ওঠার অনেক আগেই। রাত থাকতেই এখানে ফুল আসে ট্রেন ও ট্রাক বোঝাই হয়ে। আসেন খদ্দেররাও। এরাজ্যের বিয়েবাড়ি থেকে নিত্যপূজা, সমস্ত ফুলের যোগানই দেয় এই বাজার।
কলকাতার এই ফুল বাজারটি অবস্থানগত কারণেও বিস্মিত করতে পারে আপনাকে। অন্তত দু'হাজার দোকান সমেত এক বিশালকায় বাজারটি ঠিক পাশেই বয়ে যায় গঙ্গা নদী। ওপারে জনবহুল হাওড়া ষ্টেশন। জনাধিক্যের কারণে বাজারটি বেশ অপরিচ্ছন্ন দেখালেও চোখ ফেরালেই দেখবেন হাজারো রঙের দ্বন্দ্ব। ফুলের গন্ধ নাকে না এলেও প্রতিমূহুর্তে টের পাবেন এর প্রাণ। অস্থায়ী এই বাজারটিকে আধুনিক রূপ দেবার পরিকল্পনার ঘোষণা করলে ও তা এখনও অবধি বাস্তবায়িত হয়নি।
আরও ফটোস্টোরি দেখতে ক্লিক করুন: এবার গালিবের আন্দাজ-এ-বঁয়াকে কুর্নিস করল তিলোত্তমার রাস্তা
আরও ফটোস্টোরি দেখতে ক্লিক করুন: খেরোর খাতা: বাঙালি নববর্ষের অন্যতম সঙ্গীর শেষের শুরু
আরও ফটোস্টোরি দেখতে ক্লিক করুন: এলেম প্রাচীন দেশে: ছবিতে দেখুন নকুবাবুর দুর্লভ সংগ্রহশালা
এই বিশালকায় ফুলের বাজারের ওপর জীবিকা নির্ভর করে কত মানুষের তা আপনাকে বিস্মিত করতে পারে। রঙের দ্বন্দ্ব ছাড়াও এই প্রাণচঞ্চল বাজারটির মূল আকর্ষণ হল এর ঠিক পাশেই অবস্থিত কুস্তির আখড়াটি। সকাল ৭টা নাগাদ গায়ে মাটি মাখা কুস্তিগীরদের লড়াই দেখতে দেখতে সময়টা উনিশ শতক বলে ভ্রম হতেই পারে।