/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/11/leg-shaking-2025-10-11-02-13-50.jpg)
Leg Shaking: পা নাড়ানোর অভ্যাস।
Leg Shaking Habits: আমাদের চারপাশে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁদের অভ্যাস বসে বা শুয়ে থাকলেই পা নাড়ানো। কথায় কথায়, কাজ করতে করতে, এমনকী খেতে বসেও তাঁরা অজান্তেই পা দোলান। অনেকেই একে তুচ্ছ অভ্যাস বলে উড়িয়ে দেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই ছোট্ট অভ্যাসের পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে গভীর শারীরিক ও আধ্যাত্মিক প্রভাব?
শাস্ত্রমতে, বিনা কারণে পা নাড়ানো এক প্রকার অশুভ অভ্যাস। শুধু যে এটি মানসিক অস্থিরতার ইঙ্গিত দেয় তা-ই নয়, এর ফলে ভাগ্যেও নেমে আসতে পারে কুপ্রভাব।
কেন হয় এই অভ্যাস?
অনেক সময় মানসিক উদ্বেগ, চিন্তা বা নার্ভাসনেসের কারণে মানুষ অজান্তেই পা নাড়াতে থাকেন। আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে একে বলা হয় রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম (Restless Leg Syndrome, RLS)। তবে শাস্ত্রের দৃষ্টিতে এটি শুধুমাত্র শারীরিক নয়, আধ্যাত্মিক অস্থিরতার লক্ষণও বটে।
আরও পড়ুন- করওয়া চৌথের কথা তো প্রচুর শুনেছেন, এই কাহিনিটা জানেন?
জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, অযথা পা দোলানোর ফলে চন্দ্রের স্থান দুর্বল হয়ে পড়ে, যার ফলে মন হয়ে ওঠে বিষণ্ণ, চিন্তায় ভরা ও অনির্দিষ্টভাবে ক্লান্ত। পরিবারের অন্য সদস্যদের স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটে। তাছাড়া, নিয়মিত পা নাড়ানোর কারণে বাড়িতে নেগেটিভ এনার্জি বা অশুভ শক্তির প্রভাব বেড়ে যায়। এতে সংসারের শান্তি ও অর্থভাগ্যে প্রভাব পড়ে। মা লক্ষ্মী রুষ্ট হন বলে শাস্ত্রে উল্লেখ আছে। অর্থাৎ, অর্থলাভের পথে বাধা আসে, আর্থিক স্থিতি নষ্ট হয়।
আরও পড়ুন- সতীপীঠ, ভক্তদের ভরসাস্থল 'মেলাইচণ্ডী মায়ের মন্দির'!
পুজো বা নামজপের সময় যদি কেউ পা নাড়ান, শাস্ত্রমতে ভগবান সেই পুজো গ্রহণ করেন না। কারণ এটি মনোসংযোগের অভাবের প্রতীক। এতে পরিবারের ইষ্টদেবতা ক্রুদ্ধ হন এবং সংসারে অশান্তি ও আর্থিক ক্ষতি নেমে আসে। বিশেষত সন্ধ্যাবেলা বসে বসে পা নাড়ালে নাকি বাড়িতে অশুভ শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পায়। অনেকেই বলেন, এর ফলে পরিবারের মধ্যে ঝগড়া, মানসিক অশান্তি ও হঠাৎ বাধা-বিপত্তি দেখা দেয়।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বা শোওয়ার সময় পা নাড়ালে কর্মক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে, অফিস বা ব্যবসায় অকারণ জটিলতা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন- বাড়িতে এই ৭ প্রাণীকে পুষতে গেলেই মিলবে কঠোর সাজা, হতে পারেন গ্রেফতার!
খাবার টেবিলে বসে পা নাড়ানোর অভ্যাসও অত্যন্ত অশুভ বলে মনে করা হয়। শাস্ত্রমতে, এতে মা অন্নপূর্ণা রুষ্ট হন। এর ফলেই সংসারে অভাব ও অশান্তি বাড়তে থাকে। এমনকী, হঠাৎ করে অর্থক্ষতি বা লোকসানের আশঙ্কাও তৈরি হয়।
কীভাবে এই অভ্যাস দূর করবেন?
সচেতনভাবে নিজেকে থামান — পা নাড়াতে ইচ্ছে হলে গভীর শ্বাস নিন। মনোসংযোগ ও মেডিটেশন অনুশীলন করুন। ঘুমের সময় ফোন বা টিভি থেকে দূরে থাকুন। শোওয়ার আগে বা বসার সময় পা ভাঁজ করে স্থির রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট একটি অভ্যাসও কখনও কখনও আমাদের জীবনে বড় প্রভাব ফেলে। তাই যদি আপনারও পা নাড়ানোর অভ্যাস থাকে, আজ থেকেই চেষ্টা করুন সেটি নিয়ন্ত্রণে আনতে। এতে কেবল মানসিক শান্তিই নয়, ঘরে আসবে ইতিবাচক শক্তিও।