Skin Infection: বর্ষা শুরু হতেই নানা রোগের প্রকোপও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছাড়াও কোমর্বিডিটি, ক্যানসার যাঁদের রয়েছে তাদের দেহে এমনিতেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। এই অবস্থায় এমন আবহাওয়ায় ছত্রাক ও ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত রোগ বৃদ্ধি পায়। তাই আগাম সতর্কবার্তা দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।
মুম্বইয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের পরে বৃহন্নুম্বাই পৌর কর্পোরেশন (বিএমসি) যেমন লেপ্টোস্পাইরোসিস নিয়ে সতর্ক করেছে সকলকে। গত বছর করোনার মধ্যেই জুলাইতে ১৪টি এমন ঘটনা দেখা যায়। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা ছিল ৭৪টি। জমা জল থেকে ছড়াতে পারে এই রোগ।
কেন হয় লেপ্টোস্পাইরোসিসের মতো রোগগুলি?
আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে মূলত বর্ষাকালে ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাকের সক্রিয়তাও বৃদ্ধি পায়। ডায়েরিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিসের মতো রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পায় এই সময়। ২০১৯ সাল থেকে বর্ষায় লেপ্টোস্পাইরোসিস রোগটি খুব বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যে এই রোগ প্রধানত ইঁদুর, ছুঁচো বা বেজি ইত্যাদি প্রাণীর বর্জ্য পদার্থ থেকে ছড়ায়। এই সব প্রাণীরা মাটিতেই বর্জ্য ত্যাগ করে। বর্ষার সময় তা জলে মিশে যায়। আর সেই জল থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে রোগটি।
আরও পড়ুন, করোনায় মোট মৃত্যু সংখ্যায় গলদ? রিপোর্ট বাতিল করল কেন্দ্র
এই রোগ থেকে বাঁচার উপায় কী?
বর্ষাকালে জমা জল এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। পায়ে ফাঁটা গোড়ালি কিংবা কাঁটাছেঁড়া থাকলে সেখানে যদি এই ব্যাক্টেরিয়া মিশ্রিত জল লাগে তবে সেখান থেকেই দেহে প্রবেশ করে ক্ষতিকর এই কীটাণু।
এই রোগের কী কী উপসর্গ রয়েছে?
প্রাথমিকভাবে জ্বর দেখা যায়। হাতে-পায়ে খুব যন্ত্রণাও থাকে। বমি বমি ভাব, গায়ের নানা অংশে ফুসকুড়িও দেখা যায়। সাধারণ ভাবে এই রোগ ধরা পড়ে না। রক্ত পরীক্ষা করলেই বোঝা যায় আক্রান্তের বিষয়টি।
কী চিকিৎসা রয়েছে?
অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা শুরু হয়। তবে লেপ্টোস্পাইরোসিস দীর্ঘদিন থাকলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এমনকী মারাত্মকও হতে পারে এই রোগ। দীর্ঘদিন জ্বর থাকাও ভাল নয়। তাই চিকিৎসা না হলে মারাত্মক।
কী কী সতর্কতা নেওয়া উচিত?
- জমা জল এড়িয়ে হাঁটাচলা চলুন,
- বন্ধ জুতো পরা উচিত,
- সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা উচিত,
- হাত এবং পা সাবান ও জলে ধুয়ে নিন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন