Advertisment

জাগ্রত হনুমান মন্দির, যেখানে প্রতিদিন নিষ্ঠাভরে হয় বালাজির আরাধনা

এই মন্দিরে এলে ভক্তের সংকট দূর হয়ে যায় বলেই দাবি পুরোহিতের।

author-image
Chinmoy Bhattacharjee
New Update
HANUMAN TEMPLE

ভক্তবীর হনুমান। তিনি মঙ্গলের দেবতা। আর, এই শহর কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে একটি জাগ্রত হনুমান মন্দির। ৩৫ বছর আগে এই মন্দির তৈরি হয়েছিল। ভক্তদের বিশ্বাস, এখানে ভগবান হনুমান বিরাজ করেন। তিনি ভক্তদের প্রার্থনা পূরণ করেন। আর, সেই বিশ্বাসে এই সংকটমোচন হনুমান মন্দিরে প্রতিদিন বাড়ছে ভক্তের সংখ্যা। মন্দিরটি রয়েছে মধ্যমগ্রাম চৌমাথার কাছে বাদুতে। বিশাল জায়গার ওপর এই হনুমান মন্দির। ভক্তদের কথা মাথায় রেখে মন্দিরের সংস্কার চলছে। নির্দিষ্ট নকশা মেনে বড় আকারে মন্দিরটি তৈরি করা হচ্ছে।

Advertisment

মন্দিরের দেওয়ালে রয়েছে ভগবান হনুমানের নানারূপের ছবি। এছাড়াও রয়েছে রাম, লক্ষ্মণ, সীতার মূর্তি। এই মন্দিরে আসতে গেলে প্রথমে মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় আসতে হবে। সেখান থেকে বাদু রোড ধরে আসতে হবে ইটখোলা মোড়ে। বাদু অগ্রণী, ইনস্টিটিউট অফ জেনেটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তোরণের মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে রাস্তা। সেখান দিয়ে গিয়ে পৌঁছতে হবে এই মন্দিরে। বারাসতের চাঁপাডালি থেকে অটোয় চেপেও আবার আসা যায় ইটখোলা মোড়ে। আর, সেখান থেকে আগের রাস্তা ধরে আসতে হবে এই মন্দিরে।

রতনগড়-সালাসর-মেহেন্দিপুর বালাজি মন্দিরের মত এই মন্দিরও অত্যন্ত জাগ্রত। এই মন্দিরের সঙ্গে ওই সব মন্দিরের যোগাযোগা রয়েছে বলেই পুরোহিতের দাবি। মন্দিরের পরিচালক হল, হরি ওম শান্তি রাম ট্রাস্ট। সংকটে বা বিপদে পড়লে ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন বলেই দাবি পুরোহিতের। তাঁর আরও দাবি, এখানে এলে সংকটে থাকা ব্যক্তির সংকট দূর হয়ে যায়। মন্দিরের কাজকর্ম যেভাবে চলছে, তাতে তৈরি হতে আরও মাস চারেক লাগবে বলেই দাবি পুরোহিত পণ্ডিত বিনোদ শর্মার।

আরও পড়ুন- অসংখ্য মানুষের ভরসা, বিগ্রহ ঠিক কতটা জাগ্রত, আজও হাতেনাতে প্রমাণ পান ভক্তরা

আপাতত এই মন্দিরে যাঁরা যাতায়াত করেন, তাঁদের প্রায় বেশিরভাগই হিন্দিভাষী। এখানে ভগবান হনুমানের নিত্যপূজা হয়। সকালের পাশাপাশি সন্ধ্যাবেলাতেও হয় পুজোপাঠ। সন্ধ্যাবেলায় আরতির সময় মন্দিরে ভক্তদের ভিড় বেশি থাকে। ভক্তদের বেশিরভাগই আশপাশের হিন্দিভাষী ব্যবসায়ী মানুষজন ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।

Hanuman Temple pujo Temple
Advertisment