Male Infertility: পুরুষ বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ! গবেষণায় ল্যাবে তৈরি স্পার্ম দিয়েই বাবা হওয়ার সম্ভাবনা

Male Infertility: পুরুষ বন্ধ্যাত্বের সমাধানে নতুন দিগন্ত, গবেষণায় ল্যাবে তৈরি মানব স্পার্মে সন্তানের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জেনে নিন এই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ।

Male Infertility: পুরুষ বন্ধ্যাত্বের সমাধানে নতুন দিগন্ত, গবেষণায় ল্যাবে তৈরি মানব স্পার্মে সন্তানের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জেনে নিন এই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Infertility Lifestyle: ল্যাবে জন্মানো শুক্রাণু রোগীদের জন্য নতুন জীবন এনে দিতে পারে।

Infertility Lifestyle: ল্যাবে জন্মানো শুক্রাণু রোগীদের জন্য নতুন জীবন এনে দিতে পারে। (ছবি- প্রতীকী)

Infertility Lifestyle: সাম্প্রতিক বিজ্ঞান বলছে, পুরুষ বন্ধ্যাত্বের এমন এক সমাধান সম্ভব, যা আগে কল্পনাতেও ছিল না। এর পিছনে রয়েছে পরীক্ষাগারে জন্মানো শুক্রাণু! এক সময় ভাবা হত, কিছু ধরনের পুরুষের বন্ধ্যাত্ব কখনও নিরাময়যোগ্য নয়। তবে আধুনিক গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন সম্ভাবনা।

Advertisment

গত ৭০ বছরে পুরুষদের শুক্রাণুর গুণমান এবং সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এই সংকট শুধু পরিবার গঠনের পথেই বাধা নয়, এটি একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রাণুর সংখ্যার পতনের সঙ্গে সঙ্গে টেস্টিকুলার ক্যানসার, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং জন্মগত যৌনাঙ্গের ত্রুটিও বেড়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন- সাপে কামড়ালে পা বাঁধবেন না! ভুল করলেই পচে যেতে পারে—সতর্ক করলেন ড. ভেনি

Advertisment

এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকরা বর্তমানে SSR (Surgical Sperm Retrieval) নামের এক অস্ত্রোপচার পদ্ধতি ব্যবহার করছেন, যা ব্যথাদায়ক এবং সাফল্যের হার সীমিত। এমনকী এই প্রক্রিয়া অনেক সময় ব্যর্থও হয়েছে। এক্ষেত্রে একমাত্র বিকল্প হয়ে উঠেছে দান করা শুক্রাণু— যা অনেকের কাছে মানসিকভাবে কঠিন সিদ্ধান্ত।

তবে বিজ্ঞানীরা এখন এমন একটি সমাধান খুঁজে পেয়েছেন, যা এসব সমস্যার অবসান ঘটাতে পারে। ল্যাবে জন্মানো মানব শুক্রাণু—এখন আর শুধু কল্পনার কোনও ব্যাপার নয়।

আরও পড়ুন- মোমবাতির ময়েশ্চারাইজার কি ত্বকের জন্য বিপজ্জনক? সতর্ক করলেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ

কীভাবে চলেছে এই গবেষণা?

লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মানুষের অণ্ডকোষ থেকে সংগৃহীত টিস্যু বিশ্লেষণ করে এমন একটি মডেল তৈরি করছেন যা যান্ত্রিক, জৈবিক ও কাঠামোগতভাবে মানুষের অণ্ডকোষ অনুকরণ করতে পারে। এর লক্ষ্য হল, এই টিস্যু থেকে কার্যকর শুক্রাণু উৎপাদন করা।

ইঁদুরের টিস্যু থেকে শুক্রাণু তৈরি করা গেলেও মানুষের ক্ষেত্রে তা অনেক বেশি জটিল। কারণ, মানুষের শুক্রাণু উৎপাদনের প্রক্রিয়া ধীর। তাই বিজ্ঞানীরা এখন এমন ইন ভিট্রো মডেল তৈরিতে মনোযোগ দিচ্ছেন যা বাস্তবিকভাবে মানুষের অণ্ডকোষের কাজের সঙ্গে মিলে যায়।

আরও পড়ুন- গরম সেঁকেই মিলবে মুক্তি! মাইগ্রেন কমাতে এই ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞরাও

কেন এই প্রযুক্তি এত জরুরি?

অনেক পুরুষই আছেন যাদের শুক্রাণু উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের ফলে। আবার কেউ জন্ম থেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন। তাদের জন্য এখনও কার্যকর কোনো চিকিৎসা নেই। ল্যাবে জন্মানো শুক্রাণু এইসব রোগীদের জন্য নতুন জীবন এনে দিতে পারে।

এই প্রযুক্তি সফল হলে—

  • SSR ব্যর্থ রোগীদের জন্য বিকল্প মিলবে।

  • নারীর শরীরের উপর IVF-এর চাপ কমবে।

  • একেবারে অজানা কারণে বন্ধ্যাত্বে ভোগা রোগীদের জন্য নতুন চিকিৎসার রাস্তা খুলবে।

আরও পড়ুন- মহিলারা কেন ২০-তেই বুড়ি? জানুন ৪টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, সহজ সমাধান জানালেন বিশেষজ্ঞরা

চ্যালেঞ্জ এখনও আছে

এই গবেষণার সামনে এখনও রয়েছে নৈতিক এবং প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ। মানব শুক্রাণু উৎপাদনের সফলতা এখনও পরীক্ষাগারে প্রমাণ হয়নি। তবে অগ্রগতি দ্রুত হচ্ছে।

lifestyle Infertility